এসএমএস করলেই চার্জ হবে স্মার্টফোন!

নতুন প্রযুক্তি June 2, 2016 1,412
এসএমএস করলেই চার্জ হবে স্মার্টফোন!

মোবইল ফোনে সবচেয়ে ঝামেলার বিষয়টা হলো ব্যাটারি রিচার্জ সিস্টেম।শহর বা সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের সুবিধা যেখানে আছে, সেখানে কোনো ঝামেলা নেই। কিন্তু অজপাঁড়াগা কিংবা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যাটারি চার্জ নিয়ে।


বিদ্যুৎ ছাড়া কিভাবে মোবাইল ফোন রিচার্জ করা যায় সেটা নিয়ে কম গবেষণা হয়নি। আবিষ্কৃত হয়েছে নানা পদ্ধতি।


কিন্তু কোনোটাই ঠিক ফলপ্রসু বা জনপ্রিয় হয় নি। তাই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ভিন্ন এক পদ্ধতি।


বিদ্যুৎবিহীন অঞ্চলে ব্যাটারি রিচার্জের জন্য ফোন অপারেটরকে শুধু এসএমএস দিলেই দায়িত্ব শেষ। দেড় ঘণ্টায় পরিপূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে একটি স্মার্টফোন। এজন্য অবশ্য সার্ভিস চার্জ গুণতে হবে।


এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এ পদ্ধতি বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এ দেশগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ব্যাপক।


ইতোমধ্যে উগান্ডায় এ পদ্ধতির সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।


এ পদ্ধতিতে ব্যাটারি চার্জ হবে সোলার সিস্টেমে। এ প্রযুক্তির নাম দেয়া হয়েছে ম্যাক্সিমাম পাওয়ার পয়েন্ট ট্র্যাকিং এমপিপিটি। এতে ৬০ ওয়াটের ক্ষমতায় ব্যাটারি চার্জ নিশ্চিত হবে। পূর্ণ সৌরশক্তি এবং আবহাওয়ার উত্তাপ থেকে সেলফোন এ চার্জ সরবরাহ করবে এসএমএস সিস্টেমটি।


পয়েন্ট টু পয়েন্ট সার্কিট সিস্টেমে এটি সেলফোনে তারহীর চার্জ পৌঁছে দেবে। এ জন্য আলাদা কোনো চার্জার সংযোজন করতে হবে না।


এমপিপিটি মনিটরের মাধ্যমে এটি দিনরাতের যে কোনো সময়ে প্রত্যাশিত সেলফোনে চার্জ সরবরাহ করবে। গচ্ছিত সৌর এবং উত্তাপ শক্তিকে তারহীন বিদ্যুতে রূপান্তর করেই এ চার্জ সিস্টেম সক্রিয় করা হবে। একটি এসএমএস করলেই এ সেবা সহজেই গ্রহণ করা যাবে।


উগান্ডায় পরীক্ষামূলক প্রতিবার পূর্ণচাজে চার্জে ১১০ সিলিং সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে এসএমএস করা মাত্রই ওই নির্দিষ্ট সেলফোনের জন্য একটি লেড সকেট চালু হয়ে যায়। এর অর্থ ঐ সেলফোনে চার্জ দেয়া শুরু হয়ে গেছে।


ইতোমধ্যে উগান্ডায় এ সেবা দিতে বাফেলো গ্রিডের অধীনে ১০টি চার্জিং পয়েন্ট চালু করা হয়েছে। দিনে এখন সেখানে ৩০ থেকে ৫০টি সেলফোনও সফলভাবে চার্জও করা হচ্ছে।


এ প্রসঙ্গে বাফেলো গ্রিডের মুখপাত্র ড্যানিয়েল বিসিরা জানান, এ পদ্ধতিতে সৌরশক্তির বিকল্প ব্যবহার আর বিদ্যুতের অপচয় কমানো সম্ভব। কমানো সম্ভব গ্রাহকদের বাড়তি ভোগান্তি। পদ্ধতিটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।


অচিরেই একে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।’