গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর কথা

ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস June 2, 2016 2,310
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর কথা

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস- এই নামের বইটি আজ সারাবিশ্বে পরিচিত। এটি একটি সংকলন পুস্তক। পৃথিবীতে সংঘটিত যাবতীয় ঘটনা ও বিষয়ের সাম্প্রতিকতম রেকর্ড বা তথ্য এই বইতে সংকলিত হয়। এই বিস্ময়কর রেকর্ড পুস্তক প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ খ্রিঃ ২৭ আগস্ট। এই রেকর্ড ইতিহাসের সূত্রপাত হয়েছিল খুবই চমকপ্রদভাবে। ১৯৫১ খ্রি: ১০ নভেম্বর সার হিউজ বিভার আয়ারল্যান্ডের এক অঞ্চলে শিকার করতে গিয়ে গোল্ডেন প্লেভার নামে একটি পাখি শিকার করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করলেন। কিন্তু এই পাখি কোথাও পেলেন না। ফিরে এসে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে যখন এই পাখির বিষয়ে আলোচনা করছিলেন তখন তর্ক বেধে গেল- গোল্ডেন প্লেভার ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুতগামী পাখি কিনা— এই প্রসঙ্গ নিয়ে। কিন্তু এই জিজ্ঞাসার যথাযথ উত্তর পাওয়া না গেলে তর্কেরও মীমাংসা হওয়া সম্ভব না। হলোও না।


পরের ঘটনা ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে। এবারের বিতর্কের বিষয় হলো: গ্রাউস পাখি গোল্ডেন প্লোভারের চেয়ে দ্রুতগামী কিনা। কিন্তু এবারেও বিতর্কের কোন মীমাংসা হলো না। কেননা সঠিক উত্তরটি পাবার মতো কোন বই কারুর সন্ধানেই ছিল না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্যার হিউজ অনুভব করলেন এমন একটি বই থাকা দরকার যেখানে সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। এভাবেই সূত্রপাত হলো গিনেস বুক অব রেকর্ডস-এর পরিকল্পনার। সেই বছরেই ১২ সেপ্টেম্বর স্যার হিউজ নরিস আর হুটিয়ানকে আমন্ত্রণ করেন এই ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য। নরিস আর হুটিয়ান সেই সময় একটি এজেন্সি চালাতেন যেখানে নানারকম তথ্য সংগ্রহ করা হতো। এই দু'জনের সাহায্য স্যার হিউজের খুবই কাজে লাগলো। তাদের সহায়তায় একটা দফতর খোলা হলো এবং প্রথম গিনেস বুক-এর কার্যক্রম শুরু হলো। ১৯৫৫ খ্রিঃ ২৭ আগস্ট ১৯৮ পৃষ্ঠায় গিনেস বুক প্রকাশিত হয়। বড়দিনের আগে সেই বছর এই বইটির বিক্রি ছিলো সবচেয়ে বেশি।


১৯৫৬ সালে আমেরিকার গিনেস বুক-এর প্রথম সংস্করণ ছাপা হলো। এর পরে ৩৫টি ভাষায় এই বইয়ের ২৬২টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছ। হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত 'গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর ২০০ এর বেশি ভারতীয় রেকর্ডের আলাদা একটি খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছে।