বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদ

ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস May 30, 2016 1,048
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদ সম্পর্কে পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে পছন্দের ঘড় হল মসজিদ । মসজিদে মুসলামন জাতি মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য উপাসনা করে থাকে। সারা পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন মসজিদে মুষলমান সম্প্রদায় মসজিদে গিয়ে যেমন উপাসনা করে তেমনি পৃথিবী জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সুন্দর স্থাপত্যশৈল্পিক মসজিদ।


আমরা জেনেছি পৃথিবীর সবেয়েচে সুন্দর মসজিদের কথা, জেনেছি সবচেয়ে বড় মসজিদের অজানা তথ্য, জেনেছি সমুদ্রে ভাষমান মসজিদের বিস্ময়কর জানা- অজানা তথ্যও। আজ আমরা জানব পৃথিবীর বুকে মাটি দিয়ে তৈরী সবচেয়ে বড় মসজিদের দারুন কিছু চমকপ্রদ তথ্যের কথা।


পৃথিবীতে মাটির তৈরী সবচেয়ে বড় মসজিদ অবস্থিত আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে ডিজেনি (Djenne) শহরে। মসজিদটির নাম গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি। আর এটিই হল পৃথিবীতে মাটির তৈরী সবচেয়ে বড় মসজিদ।


মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী মসজিদটি নির্মাণের পক্ষে অধিকাংশ মতের সমর্থন পাওয়া যায়। জানা যায় যে, সুলতান কুনবুরু (Kunburu) ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার প্রাসাদটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে এই মসজিদটি তৈরী করেন।


১৮২৮ সালে ফরাসী পর্যটক রেনে কর্তৃক এই এলাকা সফরের আগ পর্যন্ত এই মসজিদটি সম্পর্কে লিখিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। রেনে তার সফরশেষে লিখেন, ডিজেনি শহরে মাটির তৈরী একটি মসজিদ আছে। এর দুইপাশে দুটি দর্শনীয় কম উচ্চতার টাওয়ার আছে। এরপর থেকে মাটির তৈরী এই মসজিদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়।


বানি নদীর তীরে অবস্থিতইে মসজিদটি ২৪৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট ৩ ফুট উঁচু ফ্ল্যাটফরমের উপর তৈরী। বর্ষাকালে বানি নদীর প্লাবিত পানি থেকে মসজিদটিকে সুরক্ষা করে এই ফ্ল্যাটফরম। মসজিদের দেয়ালগুলো তাল গাছের কাঠ, যা স্থানীয়ভাবে টরল নামে পরিচিত, সেগুলো দ্বারা নকশা করা। শুধু নকশা নয়, তাল গাছের কাঠ মসজিদের দেয়ালে এমনভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছে যাতে মাটির দেয়াল সহজে ধ্বসে না যায়।


প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার কাজ চলে। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের টাওয়ার এর একটি অংশ ধ্বসে পড়লে দি আগা খান ট্রাষ্ট কালচার নিজস্ব খরচে এটির সংস্কার করে