মাকড়সা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আপনি জানেন না

জানা অজানা May 21, 2016 2,596
মাকড়সা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আপনি জানেন না

মাকড়সা এই গ্রহের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর একটি প্রাণী। একজন মোটাসোটা মানুষও মাকড়সা দেখে স্কুল গার্ল এর মতোই চিৎকার করে ও লাফ দিয়ে চেয়ারের উপর উঠে যায়। কিন্তু এরা আসলেই অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক প্রাণী। আপনি কি জানেন পিতা মাকড়সা খুব হিংস্র হয়ে উঠে অন্য মাকড়সাদের উপর? অথবা মাকড়সা কখনো ভিজে যায় না!


★ মাকড়সা সম্পর্কে এরকমই আরো কিছু তথ্য জেনে নেই চলুন.....


১। মাকড়সা প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের জনগোষ্ঠীর সমতুল্য অর্থাৎ সাড়ে ছয় কোটির ও বেশি মাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ভক্ষণ করে থাকে।


২। মাকড়সাকে কেন বাথরুমে পাওয়া যায়? কারণ তারা পান করতে চায়। আমাদের ঘরের পরিবেশ শুষ্ক তাই তারা তৃষ্ণা মেটাতে বাথরুমে থাকে।


৩। ফলস উইডো মাকড়সার কামড় ততোটা খারাপ হয়না। মাকড়সা বিশেষজ্ঞ টিম ককরিল এর মতে, ফলস উইডো মাকড়সার কামড় মৌমাছির হুল ফোটানোর চেয়ে কম মারাত্মক।


৪। মাকড়সার পাকস্থলী শুধুমাত্র তরল খাদ্যই গ্রহণ করতে পারে। তাই তারা খাওয়ার আগে খাদ্যকে দ্রবীভূত করে নেয়। তারা কামড় দিয়ে শিকার ধরে এবং শিকারের পাকস্থলীর রস স্যুপের মত গ্রহণ করে অথবা লালা ও মুখের উপাঙ্গের দ্বারা শিকারকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে তারপর গলাধঃকরন করে।


৫। মাকড়সার দেহ পানিরোধক চুল দ্বারা আবৃত। তাই এর শরীরের চারপাশেই পাতলা জালের ন্যায় বায়ুর আবরণ থাকে। তাই তারা ভিজতে পারেনা। অর্থাৎ তারা সবসময়ই ভাসছে এবং কেউ কেউ পানির নীচে ঘন্টার পর ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। এজন্যই তারা ড্রেইনের ভেতর দিয়ে উপরে উঠে আসতে পারে।


৬। কিন্তু সাবান বা অন্য কোন উপাদান দিয়ে যখন জল নিষ্কাশনের পথ পরিষ্কার করা হয় তখন মাকড়সার বাতাস আটকে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তারা তখন ডুবে মারা যায়।


৭। পৃথিবীতে ৪০,০০০ প্রজাতির মাকড়সা আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা খুব কম প্রজাতিই শনাক্ত করতে পেরেছেন।


৮। ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাদের মধ্যে স্ত্রী মাকড়সা সঙ্গমের পর পুরুষ মাকড়সাকে খেয়ে ফেলে। যদি স্ত্রী মাকড়সাটি ক্ষুধার্ত না থাকে তাহলে সে হয়তো পুরুষ মাকড়সাটিকে খায়না। কখনো কখনো পুরুষ মাকড়সা নিজেই স্ত্রী মাকড়সার মুখে নিজেকে সমর্পণ করে দেয় তাকে খেয়ে ফেলার জন্য।


৯। বেশিরভাগ মাকড়সারই ৬-৮ টি চোখ থাকে।


১০। মাকড়সার জাল শক্তিশালী প্রোটিন এর সুতা দ্বারা নির্মিত। এই জালের প্রসারণ ক্ষমতা আছে এবং প্রচুর চাপ বহন করতে পারে। এই জাল হাড়ের চেয়ে বেশি এবং ষ্টীলের অর্ধেক পরিমাণ শক্তিশালী।


১১। ৩১৮ মিলিয়ন বছর পূর্বে কার্বনিফেরাস শিলায় মাকড়সার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।


১২। সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সা ব্ল্যাক উইডো উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।


১৩। কিছু মাকড়সার পা ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।


১৪। সবচেয়ে বড় মাকড়সার ওজন ১৭০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে যা একটি কুকুর ছানার ওজনের সমান।


১৫। অস্ট্রেলিয়ান ফানেল-ওয়েব স্পাইডার এর বিষে আক্রান্ত হলে একজন মানুষ এক ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে মারা যেতে পারেন। জুতার উপর দিয়েও এটি কামড় দিতে পারে।


১৬। বেশিরভাগ মানুষ মাকড়সা ভয় পায়। এই ভয়ের মাত্রা যখন বৃদ্ধি পায় তখন মাকড়সার আকৃতির কিছু দেখলে এমনকি মাকড়সার ছবি দেখলেও সে ভয় পায়। তখন এই সমস্যাটিকে আর্কনোফোবিয়া বলে।