গুজরাটকে লজ্জায় ডুবিয়ে পন্তের দিল্লির তৃতীয় জয়

ক্রিকেট দুনিয়া April 17, 2024 824
গুজরাটকে লজ্জায় ডুবিয়ে পন্তের দিল্লির তৃতীয় জয়

আসরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না গুজরাট টাইটান্সের । আইপিএল যাত্রায় নিজেদের প্রথম দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছিল গুজরাট টাইটান্স। সে দলটিই কিনা চলতি আসরে মুদ্রার অপর পিঠ দেখছে। হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট ছেড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেওয়ার পর অবনমন হয়েছে দুই দলেরই। শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট তো আজ (বুধবার) নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জায় পড়েছে।

দিল্লির মুকেশ কুমার ও ইশান্ত শর্মাদের দাপুটে বোলিংয়ে ৮৯ রানে অলআউট হয় গুজরাট । অল্প রানের লক্ষ্য পেয়েও অবশ্য লড়াই করতে হয়েছে দিল্লিকে। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিকই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।


আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লী ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় ওভারে ১১ রানে গুজরাটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ইশান্ত শর্মা। শুবমান গিলকে শিকার করেন তিনি। ৬ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন গিল। দুই ওভার পরেই আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে শিকার করেন মুকেশ কুমার। ২৮ রানে দুই ওপেনারকে হারায় গুজরাট।


ওই ২৮ রানেই বিদায় নেন সাই সুদর্শনও। রান-আউট হন তিনি। একই ওভারে ডেভিড মিলারও বিদায় নেন। তিনি ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটরক্ষক পান্টের তালুবন্দী হন। ৬ বলে ২ রান করেই থামেন মিলার।


গুজরাট পঞ্চম উইকেটটি হারায় ৪৭ রানে। অভিনব মনোহর স্টাম্পিং আউট হন ত্রিস্টান স্টাবসের বলে। পরের বলেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হন শাহরুখ খান। হ্যাটট্রিকের সুযোগ সৃষ্টি করেন স্টাবস। তবে তা হতে দেননি রশিদ খান, বরং রশিদ একাই লড়াই করেছেন গুজরাটের পক্ষে।


গুজরাটের সংগ্রহ ৮৯ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন রশিদ খান। ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রশিদ মোকাবেলা করেন ২৪টি বল। দুইটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৯.১৭।


১৮তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান রশিদ। তার আগে আরো দুইজন সঙ্গী, রাহুল তেভাটিয়া ও মোহিত শর্মাকে হারান তিনি। রশিদকে আউট করেন মুকেশ কুমার। উইকেটরক্ষক পান্টের তালুবন্দী হন তিনি। দলীয় ৮৮ রানে বিদায় নেন তিনি।


একই ওভারে নূর আহমেদকে বোল্ড করে গুজরাটের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন মুকেশ। ১৭.৩ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয় গুজরাট।


২.৩ ওভারে ১৪ রান খরচ করে দিল্লীর পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মুকেশ। ইশান্ত ও স্টাবস নেন দুইটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পান খলিল আহমেদ ও অক্ষর প্যাটেল।


মামুলী লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তবে ২০ রানেই থামেন তিনি। ১০ বলে ২০ রান করেন এই অজি ক্রিকেটার। তার ব্যাট থেকে আসে দুইটি করে চার ও ছক্কা। ম্যাকগার্কের ২০০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে স্পেনচার জনসনের বলে।


দিল্লীর আরেক ওপেনার পৃথ্বী শও বিদায় নেন দ্রুতই। ৬ বলে ৭ রান করে সন্দ্বীপ ওয়ারিয়রের বলে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন অভিষেক পোরেল ও শাই হোপ। ৭ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন অভিষেক।


হোপ আউট হন ১০ বলে ১৯ রান করে। রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি। তারপর অধিনায়ক রিশাভ পান্ট ও সুমিত কুমার দিল্লীর জয় নিশ্চিত করেন। রিশাভ ১১ বলে ১৬ রান ও সুমিত ৯ বলে ৯ রানের অপরাজেয় ইনিংস খেলেন।


চারটি উইকেট হারালেও জয় পেতে কোনো বিপদে পড়তে হয়নি দিল্লীকে। মাত্র ৮.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় রিশাভ পান্টের দল। 


এ ম্যাচের ফলাফলে, ৭ ম্যাচ শেষে দিল্লি ও গুজরাট দুদলেরই পয়েন্ট ৬। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় দিল্লি অবস্থান করছে টেবিলের ছয়ে, ঠিক তার পড়েই রয়েছে গুজরাট।