এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সুযোগ-সুবিধা কেমন?

ক্রিকেট দুনিয়া March 29, 2024 1,629
এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সুযোগ-সুবিধা কেমন?

আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। তিনি এখনও পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৪৫ টি-টুয়েন্টি পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের আর কোনো আম্পায়ারের ৭০ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও নেই। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে, আইসিসির এলিট প্যানেল কী? কেনই বা এই প্যানেলে জায়গা করে নেওয়া সম্মানের?


সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের নিয়ে আইসিসি এই এলিট প্যানেল তৈরি করেছে। ২০০২ সালে আটজন সদস্য নিয়েই এই প্যানেল গঠন করা হয়। এই আম্পায়ারেরা বিশ্বব্যাপী টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার জন্য আইসিসি কর্তৃক নিযুক্ত হন। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ম্যাচ পরিচালনা করেন। শরফুদ্দৌলাকে নিয়ে বর্তমানে এলিট প্যানেলের সদস্য ১২ জন।


প্রতি বছর এই প্যানেলের আম্পায়ারেরা ১০টি টেস্ট এবং ১৫টির মতো ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পান। আইসিসির আম্পায়ার্স সিলেকশন প্যানেল প্রতিবছর এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের পারফর্ম্যান্স পর্যালোচনা করে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারদের পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে তাদেরকে এলিট প্যানেলে যুক্ত করা হয়।


এই প্যানেলের আম্পায়ারেরা আইসিসি থেকে বার্ষিক ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার সম্মানী পেয়ে থাকেন। এছাড়াও আছে ম্যাচ ফি-সহ দারুণ সব সুবিধা। আইসিসির পক্ষ থেকে বিমানের বিজনেস ক্লাসে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ, ভালোমানের হোটেলে থাকার সুবিধা তো আছেই।


আইসিসি এলিট প্যানেল (২৮ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত): কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউ জিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।


আইসিসি এলিট প্যানেল অব ম্যাচ রেফারিজ (২৮ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত): ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউ জিল্যান্ড), রাঞ্জান মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।


সূত্রঃ অনলাইন