

হেডফোনের প্রথম ব্যবহার অবশ্যই গান শোনা। সে ক্ষেত্রে ‘দ্য ড্যাশ’ আপনাকে দেবে নিরবচ্ছিন্ন গান আর ঝামেলাহীন ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি। কেন এ রকম বলা? কারণ, এই হেডফোনে রয়েছে ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, যাতে অনায়াসেই হাজারখানেক গান এঁটে যাবে। শুধু তাই নয়, যেকোনো অবস্থায় এই হেডফোন দিয়ে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে গান শোনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ জন্য আপনার স্মার্টফোন, ট্যাব বা কম্পিউটারের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, সেগুলো ব্যবহার করে গান শোনার সুবিধা তো থাকছেই।
হেডফোনের বাইরেই অপটিক্যাল টাচের মাধ্যমে আপনি পছন্দসই গান শোনার বা কাজ করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এই হেডফোনের দুই পাশে দুই কানের জন্য রয়েছে ২৩টি বিশেষ সেন্সর , যা আপনার গান শোনার অভিজ্ঞতাই আমূল বদলে দিতে সক্ষম। সেই সঙ্গে, আপনার হার্টবিট, শরীরের অবস্থা আর হাঁটাচলা-দৌড়াদৌড়ির তাবৎ হিসেবে করে রাখবে এটি অনায়াসে। শুধু তাই নয়, আপনার পরিশ্রম অনুসারে আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার কাজও করতে সক্ষম এই হেডফোন।
শুধু এগুলোই নয়, চমক রয়েছে আরো অনেক। সাঁতার কাটার সময়ও গান শুনতে থাকা, কল্পনা করা যায়? ‘দ্য ড্যাশ’ সেখানেও চমক দেখাচ্ছে। পানির নিচেও দিব্যি এই হেডফোন কানে দিয়ে গান শোনা যাবে; কানেও পানি ঢুকবে না, আর গান চলবে গানের মতো! বাইরের আওয়াজ চাইলে একেবারেই বন্ধ করে দিতে পারেন, আবার চাইলে একেবারেই উন্মুক্ত রাখতে পারেন। পুরোটাই স্রেফ আপনার ইচ্ছা!
তবে এই মুহূর্তে যতই ‘দ্য ড্যাশ’ হস্তগত করতে চান না কেন, অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। কবে নাগাদ এটি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হবে বা এর দামই বা কত হবে, সে বিষয়ে এখনো নির্মাতারা খোলাসা করে কিছুই বলেননি। স্মার্ট এই হেডফোনের ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছেন তারা।








পাঠকের মন্তব্য (0)
Please login To write comment