ঘুরে আসুন ভূস্বর্গ কাশ্মীর (পর্ব-২)

দেখা হয় নাই May 2, 2016 1,835
ঘুরে আসুন ভূস্বর্গ কাশ্মীর (পর্ব-২)

কাশ্মীর! সৌন্দর্য্যে যার তুলনা নেই। পাহাড়ের পর পাহাড়, ভ্যালি, হ্রদ সব মিলিয়ে কাশ্মীর অনন্যা। জীবনে একবার হলেও এখানে ভ্রমণের স্বাদ নিতে চান সব ভ্রমন পিপাসুরাই। নতুন জীবনসঙ্গীর সাথে হানিমুনে বা বন্ধুদের সাথে হাইকিং করতে ঘুরে আসুন ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরে। আজ ২য় পর্ব।


কাঠুয়া

সুফিদের শহর কাঠুয়া কাশ্মীরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ। আপনি যদি ইতিহাসপ্রেমী হন তাহলে কাঠুয়ায় অবশ্যই যাবেন। দেখে আসবেন প্রাচীন কাশ্মীরের ঐতিহ্য। নদীর তীরে অবস্থিত কাঠুয়া যেমন আপনাকে নিয়ে যাবে পুরোনো দিনে তেমনি এর প্রাকৃতিক দৃশ্যও অসাধারণ।


মৌসুম- গ্রীষ্মকাল কাঠুয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভাল।

যা করবেন- ইতিহাসপ্রেমীরা অবশ্যই যাবেন জস্রোতা দূর্গে। ইউ জে এইচ ব্যারেজে পিকনিক করতে পারেন অনায়াসে।


কার্গিল

কখনোই ভুলতে পারবেন না কার্গিলের সৌন্দর্য্য একবার যদি শুধু দেখে আসেন। এই শহর অসংখ্য ভারতীয়দের তার জৌলুসময় সৌন্দর্য্যের কাছে টেনে আনে প্রতি বছর। এর অপরূপ দৃশ্যগুলো আপনাকে বাধ্য করবে বার বার কার্গিল ভ্রমণে। এখানকার আবহাওয়া আপনাকে কবি করে তুলবে নিশ্চিত।


মৌসুম- মার্চ থেকে জুন

অবশ্যই করবেন- পর্বোতাহরণ, সুরু ভ্যালিতে ট্রাকিং, মাল্বেক গোম্বা, শেরগোল, উরগ্যান ডিজোং এবং ওয়াখা রয়েল দর্শন।


পালওয়ামা

উজ্জ্বল রঙ্গীন শহর পালওয়ামার সৌন্দর্য্য মুখে যতই বর্ণনা করুন কমই মনে হবে।

এখানে জাফরানের ক্ষেত মুগ্ধ করবে আপনাকে। সবুজ পাহাড়, তার মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ, স্বচ্ছ আকাশ আর বর্ণিল জাফরান ক্ষেত আপনাকে স্বর্গবিমূখ করে দেবে নিশ্চিত।


মৌসুম- এপ্রিল থেকে অক্টোবর

যা করবেন- গ্রীষ্মে যদি যান তাহলে পর্বতে চড়বেন, ট্রেকিং করবেন। শীতে গেলে করবেন স্কিইং এবং স্নো বোর্ডিং।


পাহালগাম

ঝরঝরে ফ্রেশ একটি এলাকা এই পাহালগাম। প্রশান্তি আর নির্মলতার আরেক নাম এই পাহালগাম। এই ছোট্ট শহরটি পরিচিত ভ্রমণকারীদের স্ট্রেস দূর করে দেওয়ার জন্য। পাহাড়ি সবুজ এলাকাটি কনিফার বনের জন্যও বিশেষভাবে খ্যাত।


মৌসুম- জুন থেকে অক্টোবর। তুষারপাত দেখতে হলে যাবেন ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে।

যা যা করবেন- বেতাব এবং আরু ভ্যালিতে ভ্রমণ করবেন। ঘোড়ার পিঠে চড়ে বাড়াবেন আর করবেন ক্যানোইং।


হেমিস

হেমিস ছবির মত সুন্দর। যেন এর অনেক জায়গা এখনো মানুষের পা পড়ে নি। ছোট গ্রামটি বিখ্যাত ের মঠ এবং ন্যাশনাল পার্কের জন্য। গ্রীষ্মে কাশ্মীরে গেলে বণ্য বিরল প্রাণীদের দেখতে অবশ্যই যাবেন এখানে। স্নো লোপার্ড, বাড়ালের মত বিরল প্রাণীরা আশ্রয় খুজে নিয়েছে এখানেই।


মৌসুম- মে থেকে জুলাই

যা করবেন- হেমিস মঠ এবং ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণ।


এবার তবে বেরিয়ে পড়ুন দেরি না করে। হ্যাঁ, অনেক খরচ হবে এই ভ্রমণে। সেক্ষেত্রে কম খরচে ভ্রমণ টিপসগুলো দেখে নেবেন একবার। ভ্রমণ হোক আনন্দময়।