মিরাজ ভেলকির পরও হেসেখেলে জিতল বরিশাল

বিপিএল ২০২২ নিউজ January 21, 2022 7,773
মিরাজ ভেলকির পরও হেসেখেলে জিতল বরিশাল

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু হয়েছে আজ। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল। যেখানে সহজেই জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল দল।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়েই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় বরিশাল। হাতে ছিল আরো ৮ বল।


বরিশালের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৈকত আলি। দলীয় ৩ ও ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন শান্ত। সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে বেশি কিছু করতে পারেননি। বরিশাল অধিনায়ক খেলেন ১৬ বলে ১৩ রানের ইনিংস।


এরপর রানের চাকা সচল রেখে দলকে এগিয়ে নেন সৈকত ও তৌহিদ হৃদয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ করেন সৈকত। এছাড়া হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর দুজনেই ১৬ রান করেন।


মাঝে সৈকত ও শুক্কুর দুজনকে দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানোর পাশাপাশি ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছিলেন মিরাজ। তবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাননি তিনি। অন্যদিকে ডয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান দলকে এগিয়ে নেন সহজ জয়ের দিকে।


ব্রাভো ১২ ও জিয়াউর ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। চট্টগ্রামের হয়ে একাই লড়াই করেন মিরাজ। তিনি নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ একটি উইকেট নেন।


এর আগে শুক্রবার মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।


চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক কেনার লুইস ও ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস। ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন লুইস। স্পিনার নাইম হাসান প্রথম বলেই ছক্কা খেলেও তৃতীয় বলে লুইসকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। ৩ বলে ৬ রান করে ফেরেন লুইস।


দ্বিতীয় উইকেটে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন জ্যাকস ও তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। আফিফকে ব্যক্তিগত ৬ রানে থামান বরিশালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার আলজারি জোসেফ। আফিফ-জ্যাকস জুটিতে আসে ১৬ রান ।


দলীয় ২২ রানে আফিফের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৪ ওভারে ৬৩ রানে ৬ উইকেটে পরিণত হয় তারা। সাব্বির রহমান ৮, জ্যাকস ১৬, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ৯ ও শামিম হোসেন ১৪ রান করে ফেরেন।


দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়া চট্টগ্রামকে তিন অংকের কাছাকাছি নিয়ে যান সপ্তম উইকেটে জুটি বাঁধা নাইম ইসলাম ও ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল। ৩২ রান যোগ করেন তারা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে নাইমকে ১৫ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন জোসেফ।


একই ওভারে পরের পাঁচ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রান আদায় করে নেন হাওয়েল। এতে চট্টগ্রামের দলীয় স্কোর তিন অংকে পা রাখে। শেষ ওভারে ব্রাভোর তৃতীয় ডেলিভারিতে আরো ১টি ছক্কা হাকান হাওয়েল। পঞ্চম বলে হাওয়েলকে শিকার করেন ব্রাভো। আর শেষ বলে বাউন্ডারি আসে মুকিদুল ইসলামের ব্যাটে। শেষ ৫ ওভারে ৫২ রান তুলে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।


শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান করে চট্টগ্রাম। ৩টি করে চার-ছক্কায় ২০ বলে ৪১ রান করেন হাওয়েল। বরিশালের জোসেফ ৩২ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া নাইম ২টি, সাকিব-লিন্টট ও ব্রাভো ১টি করে উইকেট নেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১২৫/৮, ২০ ওভার (হাওয়েল ৪১, জ্যাকস ১৬, জোাসেফ ৩/৩২)।


ফরচুন বরিশাল: ১২৭/৬, ১৮.১ ওভার (সৈকত আলি ৩৯, জিয়াউর ১৮*, মিরাজ ১৬/৪)