আইপিএলে ইতিহাস গড়ে নাটকীয় জয় রাজস্থানের

ক্রিকেট দুনিয়া September 28, 2020 5,030
আইপিএলে ইতিহাস গড়ে নাটকীয় জয় রাজস্থানের

ত্রয়োদশ আইপিএলে আরও একটা রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল শারজা। ছোট মাঠে রানের ফুলঝুরি ছোটাল দুই দলই। কিন্তু শেষ হাসি হাসল রাজস্থান রয়্যালস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ২২৩ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইতিহাস গড়ে ফেলল স্টিভ স্মিথের দল। ৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিল তারা। গড়ে ফেলল আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।


প্রবল চাপ মাথায় নিয়েও বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেন সঞ্জু স্যামসন (৮৫), রাহুল তেবাতিয়ার (৫৩) ও স্টিভ স্মিথ (৫০)। রাজস্থানের জয়ে বিফলে গেল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দুরন্ত সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাটিং করে মায়াঙ্ক (১০৬) ও লোকেশ রাহুলের (৬৯) ১৮৩ রানের ওপেনিং জুটির সুবাদে পাঞ্জাব ২ উইকেটে তুলেছিল ২২৩ রান। কিন্তু সঞ্জু, তেবাতিয়া, স্মিথ ত্রয়ীর পাল্টা আক্রমণে সেই বিশাল পুঁজিও আগলাতে পারল না অনিল কুম্বলের প্রশিক্ষণাধীন দলটি।



অথচ ওভার পিছু এগারোর উপর রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস শুরুতেই জট বাটলারের (৪) উইকেট হারায়। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ আস্কিং রেট কমিয়ে আনার মরিয়া চেষ্টা চালান পাওয়ার প্লে’তে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন তারা।


স্টিভ স্মিথ ২৭ বলে ৫০ করে আউট হয়ে যাওয়ার পরও হাল ছাড়েননি সঞ্জু। ৪২ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন তিনি। মারেন ৪টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা। সঞ্জু ফিরে যাওয়ার পর টার্গেট ছিল ২৩ বলে ৬৪ রান। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তরুণ রাহুল তেবাতিয়া। ৩১ বলে ৫৩ করে দলের জয় কার্যত পাকা করে ফেলেন তিনি। শেষদিকে জোফ্রা আর্চারও খেলেন ৩ বলে অপরাজিত ১৩ রানের মূল্যবান ইনিংস। ১৯.৩ ওভারে ৬ উইকেটে রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ২২৬ রান।


এর আগে পাঞ্জাবের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৫০ বলে ঝোড়ো ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মারেন সাতটি ছয় ও ১০টি চার। প্রথম ম্যাচ থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানটি। তিন ম্যাচ যেতে না যেতেই তাঁর ব্যাটিং গড় ৭৩.৬৬। মোট রান ২২১। তার মধ্যে রবিবার রাতে শারজায় রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের তুলোধনা করে আইপিএলে তার প্রথম শতরানও রয়েছে।


ওপেনিং জুটিতে ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে মায়াঙ্ক যোগ করেন ১৮৩। কিংস ইলেভেনের রেকর্ডে এটা দ্বিতীয় সর্বাধিক। এর আগে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও শন মার্শ ২০১১ সালে দ্বিতীয় উইকেটে তুলেছিলেন ২০২ রান। যা এদিন সহজেই টপকে যেতে পারতেন মায়াঙ্ক-লোকেশ জুটি।


তাতে অবশ্য লজ্জা বাড়ত রাজস্থানের। শতরানের পর মায়াঙ্ক আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত টম কুরানের বলে তিনি সঞ্জু স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। মায়াঙ্ক আউট হওয়ার পর অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দকে এগিয়ে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল। ৫৪ বলে ৬৯ করেন তিনি। শেষদিকে নিকোলাস পুরান ৮ বলে ২৫ ও ম্যাক্সওয়েল ৯ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।