দেউলিয়া হবার সম্ভাবনা বিসিবি, পিসিবি, শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের!

ক্রিকেট দুনিয়া April 18, 2020 2,947
দেউলিয়া হবার সম্ভাবনা বিসিবি, পিসিবি, শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের!

করোনার মহামারীতে বন্ধ হয়ে গেছে সমগ্র ক্রীড়াঙ্গন। খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি চোখ রাঙ্গাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে। চলতি বছর খেলা না গড়ালে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে পারে বোর্ডগুলো।


এমন সময় ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে ভয়াবহ এক প্রতিবেদন। চলতি বছর যদি মাঠে খেলা না গড়ায় তাহলে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বোর্ডগুলো দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।


শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সম্প্রচারস্বত্ব ছিল টেন স্পোর্টসের। গত বছর টেন স্পোর্টসের সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের। জানুয়ারি থেকে তারা শেষ হওয়া চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি।


একই চিত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। ২০১৪ সালে ৬ বছর মেয়াদি সম্প্রচার চুক্তি করেছিল বিসিবি। ১৭০ কোটি টাকা মূল্যের সিএ চুক্তিটির মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসে সেই চুক্তি নবায়ন করার কথা থাকলেও করোনা বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট। এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি বিসিবি।


সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। করোনার প্রভাবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) মাঝপথে থেমে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখ দেখছে পিসিবি।


বিপদে রয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডও। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি বছরের আসরটি। সেই সঙ্গে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু সিরিজও। এবং শঙ্কা রয়েছে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়েও। সবকিছু মিলিয়ে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ডটিও। যদিও ঝুঁকিটা তাদের কিছুটা কম।


টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে ভারত কিংবা ইংল্যান্ড ছাড়া বাকি ক্রিকেট বিশ্ব দিন এনে দিন খাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।’


এদিকে সংবাদমাধ্যমটি মনে করছে, এ তিনটি বোর্ডের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে বিসিবি। চলতি মাসে সম্প্রচার ও স্পন্সর চুক্তির মেয়াদ শেষে নতুন চুক্তি করে বিসিবি মোটামুটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে বলে মনে করছে তারা।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আর্থিক ক্ষতি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে যখন দেখা যাবে যে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সেই সময় খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা এবং আরও আনুষঙ্গিক খরচ বহন করা খুব কঠিন বিষয় হয়ে পড়বে বলে ধারণা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।


সূত্রঃ ক্রিকফ্রেন্জি