রিভিউ ব্যর্থতায় তামিমের চেয়ে এগিয়ে কোহলি

ক্রিকেট দুনিয়া April 14, 2020 4,183
রিভিউ ব্যর্থতায় তামিমের চেয়ে এগিয়ে কোহলি

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম, সংক্ষেপে ডিআরএস। ক্রিকেটের এই পদ্ধতি অনুযায়ী কোন ব্যাটসম্যান বা বোলার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জে করতে পারেন। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলে তখন একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার স্মরণাপন্ন হন ডিআরএসের।


গেল ৫ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে ক্রিকেটাররা ৩৩০০ বার নিয়েছেন এই রিভিউ। ব্যাটসম্যান বা বোলার সবচেয়ে বেশি এই পদ্ধতির স্মরণাপন্ন হন এলবিডব্লিউ-এর ক্ষেত্রে।


লেগ বিফোর উইকেট বা এলবিডব্লিউ আউটে সবচেয়ে বেশিবার রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আজকের এই আয়োজন। এই তালিকায় ঠাই হয়েছে বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের। ব্যর্থতার সেরা সাতে তার অবস্থান সপ্তম। সেই সঙ্গে ২৫ শতাংশ সফলতার হার নিয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন কোহলি-স্মিথদের চেয়ে।


এলবিডব্লিউ-এর শিকার হয়ে রিভিউ নিয়ে সবচেয়ে বেশিবার ব্যর্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন। তাঁর সফলতার হার একেবারেই শূণ্য। ১০টি রিভিউ নিয়ে একটিতেও সফল হতে পারেননি এই অজি স্পিনার। ৯ বারের ব্যর্থতার সঙ্গে একটি সিদ্ধান্ত আটকে গিয়েছে আম্পায়ার্স কলে।


দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন লায়ন সতীর্থ স্টিভ স্মিথ। এই অজি ব্যাটসম্যান গেল ৫ বছরে এলবিডব্লিউতে রিভিউ নিয়েছেন সর্বমোট ২০ বার। এই ২০ বারের ভেতর ১৪ বারই তাঁকে ফিরতে হয়েছে ব্যর্থতাকে সঙ্গি করে। ৩ বার মুখ দেখেছেন সফলতার।


ব্যর্থতার দিক দিয়ে স্মিথের পরেই অবস্থান শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নের। ১৬ বার নেয়া রিভিউর ভেতর ১০ বারই ব্যর্থ হতে হয়েছে তাকে।


চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। এলবিডব্লিউতে আউট হয়ে গেল ৫ বছরে ১৫ বার রিভিউ নিয়েছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। এর ভেতর ৯ বারই ব্যর্থ হতে হয়েছে তাকে। ৩ বার আম্পায়ার্স কলের সঙ্গে ৩ বার সফল হয়েছেন বেয়ারস্টো।


পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসি। ১৩ রিভিউর বিপরীতে সফলতার মুখ দেখেছেন ৩ বার। ৮ বারই ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে এই প্রোটিয়াকে।


তালিকায় এরপরের অবস্থান বিরাট কোহলির। শেষ ৫ বছরে কোহলি রিভিউ নিয়েছেন ১৭ বার। তার ভেতর ৮টিতেই সফল হতে ব্যর্থ হন এই ব্যাটসম্যান। এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সফলতার হার ২৩.৫৩।


সর্বশেষ এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিমের সফলতার হার ২৫ শতাংশ। ১২ বার ডিআরএসের স্মরণাপন্ন হয়ে ৭ বার তাকে ব্যর্থ হতে হয়েছে। ২ বার আম্পায়ার্স কলের পাশাপাশি ৩ বার দেখেছেন সফলতার মুখ।


সূত্রঃ ক্রিকফ্রেন্জি