এটা বাংলাদেশ না, নিউজিল্যান্ড! এখানে তোর জুতা কে নেবে?

খেলাধুলার বিবিধ March 17, 2019 983
এটা বাংলাদেশ না, নিউজিল্যান্ড! এখানে তোর জুতা কে নেবে?

বাংলাদেশ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশের বিমান ধরেছেন। টেস্ট সিরিজের দল ব্যতীত অন্য ক্রিকেটার নেই সেখানে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চের এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা সদস্যরাও। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তরুণ সাইফুদ্দিন। ঠিক এক মাস পর একই মসজিদে হামলার ঘটনায় আঁতকে উঠেছেন এই ক্রিকেটার।


একমাস আগের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়ে সাইফুদ্দিন জানান, ‘গত মাসে আমরা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলেছি ক্রাইস্টচার্চে। ওই ম্যাচের আগে আমিও তো দলের সবার সঙ্গে ওই মসজিদে নামাজ পড়েছি। মসজিদটা বেশ ছোট। ভেতরের কাঠামো আমাদের দেশের মসজিদের মতো নয়। মসজিদের ভেতরটা অ্যাপার্টমেন্টের মতো।


আমাদের দেশে মসজিদগুলোর সামনে অনেক দরজা থাকে। আর ওই মসজিদে একটা দরজা দিয়ে ঢুকতে হয়, ওটা দিয়েই বের হতে হয়। মানুষ যে নৃশংস এ ঘটনা থেকে বাঁচবে সে উপায়ও নেই। এ কারণে হতাহতের ঘটনা এত বেশি।


বাংলাদেশে যেমন পাড়া-মহল্লায় একাধিক মসজিদ, ওখানে তো তা নয়। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের খুব কাছে বলেই আমরা ওই মসজিদে নামাজ পড়ি। আগে থেকেই সবাই চিনত বলেই আজ সবাই ওখানেই নামাজ পড়তে গিয়েছিল। মাঠ থেকেও বেশি দূরে নয়।


সকালে ঘুম থেকে উঠেই এ খবর দেখে হৃদয় কেঁপে উঠেছে। ঢোকার যে পথে ওই লোকটা গুলি ছুড়ল, এক মাস আগেই ওখান দিয়ে যাওয়া-আসা করেছি। সেদিন মিরাজের সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে বেশ রসিকতা করেছি। দেশে যখন কোনো মসজিদে নামাজ পড়তে যাই অভ্যাসবশত চুরি যাওয়ার ভয়ে স্যান্ডেল বা জুতা হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকি।


ওখানেও যখন হাতে জুতা নিয়ে ঢুকছি মিরাজ বলছে, “এটা বাংলাদেশ না, নিউজিল্যান্ড! এখানে তোর জুতা কে নেবে?” আজ এই নৃশংস ঘটনার পর মনে হলো, জুতা কেউ নেবে না, কিন্তু মানুষের জীবনটাই তো নিয়ে গেল…’