বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

দেশের খবর December 21, 2018 1,008
বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলকের সমর্থকদের হামলায় ৫০-৬০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ। এছাড়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ করেছেন তিনি।


দাউদারের দাবি, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা তার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে বাধা, হুমকি ও হামলা চালিয়ে আসছে। বেশ কয়েক দফায় তার প্রচারের মাইক ভাঙচুর করে তা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। এসব ব্যাপারে লিখিতভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ হাতিয়ান্দহ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বিএনপি’র ৪৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছেন। ফলে নির্বাচনি প্রচারে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন। জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষের ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, বিএনপি প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় অভিযোগের কপিগুলো পাঠানো হয়েছে।


সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, প্রশাসন কারও পক্ষে কাজ করছে না বরং লেভেল প্লেইং ফিল্ড রক্ষার জন্য দিনরাত মাঠে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।


নাটোর -৩ আসনে পলকের নির্বাচনি প্রচার পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দাউদার মাহমুদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পলকের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে কালিমা লেপনের জন্যই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।


তিনি জানান, বিএনপি প্রার্থীর প্রচারে কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বরং হাতিয়ান্দহ এলাকায় ধানের শীষ প্রার্থীর অনুসারীরা তাদের প্রার্থীর উপস্থিতিতে নৌকা প্রার্থীর প্রচারণার ক্যাম্প ভাঙচুর করে এবং নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করে। এ কারণেই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বিএনপির ৪৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।