যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় তম স্থান অধিকার করলো..! জানুন বিস্তারিত..

খেলাধুলার বিবিধ November 25, 2018 3,221
যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় তম স্থান অধিকার করলো..! জানুন বিস্তারিত..

চট্টগ্রাম যে টেস্ট হলো, সেটাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ইনিংসে দেখা যায় সবগুলো উইকেটই নিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। আর পতন হওয়া ৪০ উইকেটের মধ্যে দুই দলের স্পিনাররা মিলে নিয়েছেন ৩৪ উইকেট...!!! টেস্টে এমন ঘটনা খুব কম সংখ্যক বার ই ঘটেছে।

গোটা ম্যাচে দুই দলের পেসাররা মিলে যদি মাত্র ১ উইকেট নিতেন? ওয়েস্ট উইন্ডিজের পেসাররা যদি একটু খারাপ বোলিং করতেন তাহলেই তো বিশ্ব রেকর্ডটা হয়েই যেত । চট্টগ্রামে পৌনে তিন দিনে শেষ হওয়া টেস্টে ৪০ উইকেটের মধ্যে পেসারদের শিকার মাত্র ৬ উইকেট। এই সংখ্যাটা ১ হলে আর বাকি ৫ উইকেট স্পিনাররা নিলেই বিশ্ব রেকর্ডটা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

ভাবা যেতে পারে, এ কল্পনাবিলাসী মনের আবেগ! এদিকে ক্রিকেটের কিছু সমর্থকেরা যুক্তি দেবেন,স্পিনের টেস্টে পেসাররা কেন উইকেট পাবে? না, পেলে ক্ষতি নেই বরং তা দলের জন্যই ভালো। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই উইকেট যেমন স্পিনবান্ধব ছিল, তাতে রোমান্টিক কিংবা কল্পনাবিলাসী সমর্থকেরা পেসারদের উইকেট পাওয়ার বিপক্ষে ব্যাট ধরতেই পারেন। হাজার হোক রেকর্ডটা ছুটে যাওয়া বলে কথা। তা কোন সে রেকর্ড?


গত ১৪ নভেম্বর ক্যান্ডি টেস্টে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ক্যান্ডির বাইশ গজ স্পিনবান্ধব হলেও ম্যাচটা গড়িয়েছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত। আর সেই উইকেটে দুই দলের স্পিনাররা মিলে নিয়েছেন ৩৮ টি উইকেট। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে লাকমলের ১ উইকেট আর শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করুণারত্নে রান আউট না হলে স্পিনাররা কিন্তু ‘চল্লিশে চল্লিশ’-ই পেতেন। মানে, দুই দলের মোট ৪০ উইকেটের সবগুলোই পেতেন স্পিনাররা! লাকমল আর করুণারত্নে তা ভেস্তে দিলেও ঠেকানো যায়নি বিশ্ব রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি ক্যান্ডিতেই গড়তে পেরেছেন পেরেরা-রশিদরা। সেই টেস্টে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৩৮ উইকেট। হিসাব টা কি বুঝা যাচ্ছে এখন..? মানে, ওই যে পেসাররা কেন ৬ উইকেট নিলেন—সেই প্রশ্নটি। চট্টগ্রাম টেস্টে দুই দলের স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৩৪ উইকেট। অর্থাৎ, স্পিনাররা আর ৫টি উইকেট নিলেই অল্প কদিনের ব্যবধানে লেখা যেত নতুন একটি রেকর্ড। সেই ক্ষেত্রে পেসারদের ভাগে পড়ত ১ উইকেট।