সফল হতে চান? এখনই ছাড়ুন এই ৯টি বদঅভ্যাস

সফল হওয়ার জন্য তো অনেক কিছুই করছেন। কিন্তু এক ধাপ উন্নতি করলেন তো আরেক ধাপ পিছিয়ে যাচ্ছেন। বালতিতে যদি ফুটো থাকে তাহলে যতই পানি ঢালেন তা কি থাকবে? সফলতা পেতে হলে কোন কাজগুলো করবেন না, সে ব্যাপারে জেনে নিতে হবে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্টিকেল ওয়েবসাইট মিডিয়াম ডটকমে ‘জিরো টু স্কিল’ এর প্রতিষ্ঠাতা দ্রাভকো ভিজেতিক (Zdravko Cvijetic) এর লেখা ‘নাইন থিংস ইউ শুড গিভ আপ ইফ ইউ ওয়ান্ট সাকসেস’ শিরোনামের একটি নিবন্ধ উঠে এসেছে সফল হতে হলে কোন কোন বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।

১. অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন বাদ দিন : ‘স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। যদি আপনি জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে চান, প্রথমেই আপনাকে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে। স্বাস্থ্যের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এই দুটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

২. স্বল্পমেয়াদী মানসিকতা পরিহার করুন : কোনও কাজ ২-১ দিন করলেন পরে আর করা হলো না এমন যেন না হয়। ধরুন, ভাবলেন সকালে নিয়মিত হাঁটবেন কিন্তু কয়েক দিন পর আবার আগের মতোই। এমন হলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। যে কোনও কাজ অল্প করে করলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।

৩. এক সাথে একাধিক কাজ করা পরিহার করুন : যে কোনও একদিকে মনোনিবেশ করুন। আপনি যদি একাধারে গায়ক, নায়ক, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড় হতে চান, তাহলে আপনি কোনও কাজই ভালোভাবে করতে পারবেন না। আগে ঠিক করুন আপনি কোনও কাজ করতে আগ্রহী বা কোনও কাজ ভালো পারেন। সেদিকে মনোনিবেশ করুন।

৪. অজুহাত দেখানো পরিহার করুন : অজুহাত খুঁজে বের করা আপনার নিজেকে সংশোধন করা এবং উন্নতি করার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তায় জ্যাম ছিল তাই দেরি হয়েছে এমন কথা পরিহার করুন। আগে থেকেই ব্যবস্থা নিন যাতে রাস্তায় জ্যাম থাকলেও দেরি না হয়।

৫. রাতারাতি পরিবর্তন আশা করবেন না : কোনও কিছুই হুট করে অর্জন হয় না। ধীরে ধীরে একদিন একদিন পরিশ্রম করেই মানুষ দক্ষ হয়ে উঠে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ১ শতাংশ করে হলেও নিজেকে উন্নত করার।

৬. একঘেয়েমি মনোভাব পরিহার করুন : বর্তমান দুনিয়া ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে খাপ খেয়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যদি আগে থেকেই সব নির্ধারণ করে রাখেন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আগের নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী চেষ্টা করেন তাহলে তা সময় উপযোগী হবে না, কাজে ভালো অগ্রগতি সম্ভব হবে না। পরিকল্পনা করুন তবে, পরিকল্পনায় নমনীয়তা রাখুন যা পরিবর্তিত পরস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারেন।

৮. টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ডুবে থাকবেন না : আমাদের মাঝে অনেকেই সারাদিন টেলিভিশন বা ইন্টারনেটে ডুবে থাকেন। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা এটি। এতে যে আপনার সময়ের অপচয় হচ্ছে। সেই সময়টুকু এমন কাজে লাগানোর চেষ্টা যা আপনার জন্য কাজে দিবে।

৯. সব কিছু নিখুঁত হবে এমন আশা করবেন না : আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন কোনও কিছুই সব সময় নিখুঁত হবে না। কাজ করতে থাকুন। এক সময় কাজে পরিপূর্ণতা চলে আসবে।