যে কারনে আপন খালাতো বোনের সাথেও সংসার টিকলো না মোসাদ্দেকের

খেলাধুলার বিবিধ August 27, 2018 1,315
যে কারনে আপন খালাতো বোনের সাথেও সংসার টিকলো না মোসাদ্দেকের

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারো যু্ক্ত হলো নারীঘটিত কেলেঙ্কারি। এবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উদীয়মান তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন তার স্ত্রী আপন খালাতো বোন সামিনা শারমিন সামিয়া।


এর আগে রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ শহীদ নারীঘটিত কালেঙ্কারিতে জড়িয়ে সমালোচিত হয়েছেন।


২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর আপন খালাত বোন সামিনা শারমিনকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক। বিয়ের আগে সামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২০১২ সালে মোসাদ্দেক যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য, তখন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কাবিননামায় মোসাদ্দেকের বয়স লেখা হয় ২২ বছর। অস্ট্রেলিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলে দেশে ফিরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।


ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মোসাদ্দেকের স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবিরের দাবি, জাতীয় দলের নিয়মিত হওয়ার পর থেকে মদ্যপান, অন্য নারীর প্রতি আসক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত মোসাদ্দেক।


মোজাম্মেল কবির জানান, তার বোন (মোসাদ্দেকের স্ত্রী) এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকেও ব্যাপারটি জানিয়েছেন তার বোন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে তিনি ব্যাপারটি সুরাহা করার আশ্বাসও দেন।


নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সুজনের সঙ্গে বসার কথা বলে মোসাদ্দেক এসে স্ত্রীকে তার বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু মীমাংসার কথা বলে বাসায় নিয়ে মোসাদ্দেক তার স্ত্রীর ওপর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। শারীরিকভাবে আঘাত করার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মোজাম্মেল। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল মোসাদ্দেকের পরিবার বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


মোসাদ্দেকের এমন নির্মম নির্যাতন ও হুমকিতে বাধ্য হয়ে ২৬ আগস্ট, রবিবার মামলা করেছে তার স্ত্রী সামিয়া। এমনটা দাবি করছেন মোসাদ্দেকের খালাতো ভাই ও তার স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবির। মোসাদ্দেক ছাড়াও তার মা পারুল বেগমকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।


মোসাদ্দেকের দাবি, তিনি ইতোমধ্যে সামিয়াকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিয়েছেন। ডিভোর্স পেপার পাঠানোর পর তার স্ত্রী মামলা করেছেন বলেন, ‘আমি ডিভোর্স পেপার পাঠানোর পরে আজ একটা মামলা হয়েছে আর কি। এখন পর্যন্ত একটাই মামলা হয়েছে। মামলাটা যৌতুকের মামলা। ডিভোর্স পেপার পাঠানোর পরে মামলাটি হয়েছে।’


সূত্রঃ অনলাইন