শুধু জুমার নামাজ আদায়কারীকে বেনামাজি বলা যাবে কি?

ইসলামিক শিক্ষা August 8, 2018 2,170
শুধু জুমার নামাজ আদায়কারীকে বেনামাজি বলা যাবে কি?

যারা শুধু জুমার নামাজ এবং রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাদের কি বেনামাজি বলা যাবে? এমন অদ্ভুত প্রশ্ন প্রায়ই করে বসেন কেউ কেউ।


তাদের জন্য উত্তর হলো: কোনো সন্দেহ নেই, এরা বেনামাজি। নামাজ আসলে তারা আদায় করেননি। কেননা, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তো নামাজ ফরজ করেছেন পাঁচ ওয়াক্ত।


হাদিসের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা দিন ও রাতের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেটি ফরজ, সেটি যদি কেউ আদায় না করে থাকেন, তাহলে তো তিনি কুফরি করলেন।


তার সব ইবাদত, সব আমল আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে কিচ্ছু না; কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এগুলোর কোনো মূল্য হবে না। এমনকি মিজানের পাল্লার মধ্যে এর কোনো ওজন দেওয়া হবে না।


তাই শুধু জুমার নামাজ বা ঈদের নামাজ যারা লোক দেখানোর জন্য পড়েন, তাদের এটি লৌকিক নামাজ বলে গণ্য হবে। এই লৌকিকতা শুধু যে অন্যায়, তা নয়। বরং এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘ফাওয়াইলুল্লিল মুসাল্লিন।


আল্লাজিনাহুম আং সলাতিহিম সাহুন। আল্লাজিনাহুম ইউরাউন’। অর্থাৎ লোকদের দেখানোর জন্য, অমনোযোগীভাবে শুধু লৌকিক সালাত যারা আদায় করে থাকে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন, ‘এ ধরনের মুসুল্লি যারা আছে, তাদের জন্য ধ্বংস।’ (সুরা মাউন: আয়াত ৪-৬)


তাই বেনামাজি বলতে মূলত বোঝায়, যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পরিহার করে বা তরক করে। সেটি যদি এক ওয়াক্ত কেউ তরক করে থাকে, তাহলেও সে বেনামাজি। কিন্তু ধরেন, যদি ওজরের কারণে কেউ আজকে নামাজ পড়তে পারলেন না, তাই আগামীকাল আদায় করে নিলেন, তাহলে তাকে বেনামাজি বলা হবে না।


সূত্রঃ অনলাইন