গল্প:-ভৌতিক বাড়ি | ভূতের গল্প | পর্ব:-১ | Noor Rahman

ভূতের গল্প July 31, 2018 5,666
গল্প:-ভৌতিক বাড়ি | ভূতের গল্প | পর্ব:-১ | Noor Rahman

গল্প:-ভৌতিক বাড়ি

লেখক:-নূর রহমান

.

ঘভির ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম আমি।হঠাৎ আমার মাথার পাশে থাকা মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি বন্ধু রবিন ফোন করেছে।ফোন রিসিভ করার পর।

আমিঃহ্যালো রবিন বল?

রবিনঃবল মানে তোর কি কিছু মনে নেই?

আমিঃকি ওহহহ হ্যা মনে পড়েছে।তোরা থাক আমি আসছি?

ফোনটা রেখে দিয়ে রেডি হচ্ছি।আজ সকালে আমরা পাচ বন্ধু বুদ্ধি করেছি।আমাদের স্কুল ছেরে বেশি ধুরে নয় অল্প একটু হাটলেই বিরাট একটা পুরোনো বাড়ি আছে।যেখানে নাকি এখন কেও থাকেনা।কারণ ওই বাড়িটায় ছিল এক রকম অদ্ভুত লোক।এক দুর্ঘটনায় সেই বাড়িটায় আগুন লেগে তাদের পরিবারের সবাই মারা যায়।দুর্ঘটনার ১মাস পর।দুইটি লোক সেই পুরোনো বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল । রাত তখন ৯টা হবে।যাবার সময় ওই বাড়িতে যে লোক গুলো ছিল তারা সবাই জীন্দা হয়ে উটেছে ভাবে দুটি লোক দেখতে পেরে তার পর ওখানে না থেকে দুই জনই দৌড় দেয়।দুর ভাগ্গবসত দুটি লোকের মধ্যে একটা লোক মাটিতে পরে যায়।অন্য লোকটি ভয়ে যে পরে গেছে তাকে ছেরেই সে চলে যায়।তার পরের দিন সকালে সেই বাড়ির সামনে সেই রাতের লোকটির লাশ পাওয়া যায়।

আর আমরা পাচ জন এখন ওই বাড়িতেই যাব।দেখব কেমন দেখা যেত তাদের।এখন রাত বাজে ১০টা।রেডি হয়ে।পাচ বন্ধুর কাছে চলে যাই।

রবিনঃকিরে নূর এসে গেছিস?

আমিঃহুম কথা যখন দিয়েছি তখন না গিয়ে থাকতে পারি।

আশিকঃঠিক আছে তাহলে আমরা আর কথা না বারিয়ে এবার চলি।

সবাইঃহুম এবার যাওয়া যাক?

এমনটা হবার পরও আমাদের কারো ভয় করছে না।

আমরা অনেক কথা বলতে বলতে কেবল স্কুলের এখানে এসে পৌছাই।

এবার আর একটু গেলেই সেই পুরোনো রহস্য বাড়িটা ।

এত কাছে আসার পরও কারো ভয় করছে না।

আমিঃরবিন তোর কি ভয় করছে না।

রবিনঃআরে ভয় করবে কেন?মনে করিস না একেলা আছি।আমরা পাচ জন আছি

.

কথা বলতে বলতেই আমরা পাচ জন বাড়িটার সামনে চলে আসি।

বাড়ির দরজার কাছে যেতে কারো সাহস হচ্ছে না।

আমি:কিরে রবিন এত সাহষ দেখাচ্ছিলি এখন তোর কি হলো?

রবিন:রাত কত বাজে যানিস রাত বাজে সাড়ে এগারোটা।আর এত রাতে আমরা আছি এক ভূত বাড়ির সামনে।

পাচ জন থাকতেও কেও সামনের দিকে এগোচ্ছে না।পরে

আমি:দেখ এভাবে চলতে থাকলে আমি কিন্তু বাড়ি চলে যাব?

আশিক:ঠিক আছে এত ভয় পেলে চলবে না চল সবাই এক সাথে যাব।রেডি হ?

আমরা পাচ জন আমি রবিন আশিক মুস্তা আর রনি।এক সাথে হাত ধরে সামনের দিকে এগোচ্ছি।দরজার কাছে এসে দারিয়ে পরলাম।কারণ এখন যা দেখলাম সামনের দিকে তা দেখে মনে হচ্ছে না বাড়ি ফিরে যেতে পারব।

রনি হচ্ছে আমাদের সবার বড়।

রনি:ভাই এটা কি দেখছি।আমি যা দেখছি তোরা কি তাই দেখছিস?

আমরা:শুধু আমরা না এখানে যেই আসবে সেই দেখবে।

দেখি সেই লোকটার কথাই সত্যি।যারা রাত ৯টায় যা দেখেছিল।

আমি কাপা গলায় ওদের বললাম।

আমি:ভাই সবাই ভাগ এখন থেকে পালা।না পালালে আর বেচে ফিরতে পারব না।

এই বলে যার যত শক্তি ছিল।সে তত দৌড়।দৌড়ে সবাই ক্লান্ত হবার পর এক জায়গায় সবাই গড়াগরি ভাবে বসে পরলাম

জায়গাটা অনেক বাস গাছ দিয়ে ভর্তি ছিল।বলে সবার মনে আরো ভয় ঢুকে যায়।

হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনতে পেরে আমরা চুপ হয়ে যাই।

আওয়াজটা ছিল ঝুমুরের।

রবিন কান্না গলায় বলে উঠল

রবিন:ভাই মনে হয় আমরা আজ রাতে কেও বেচে ফিরে যেতে পারব না।ভাই তোরা প্লীজ আমাকে বাচা।

আমি:চুপ কর এভাবে বলবি না।যে পর্যন্ত প্রাণ আছে সে পর্যন্ত লড়ে যাব।

.

চলবে...