টুজি-থ্রিজি-ফোরজির পার্থক্য জানেন?

বিবিধ টেক June 3, 2018 3,813
টুজি-থ্রিজি-ফোরজির পার্থক্য জানেন?

প্রজন্ম বদলায়, প্রযুক্তিও বদলায়। কিন্তু আপনি এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো? জেনে নিন বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে বারে নেটওয়ার্ক হিসেবে নানান চিহ্নে থাকে আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক। কিন্তু সব নেটওয়ার্কের সবকিছু জানেন কী?


• টুজি


১৯৯১ সালে বাজারে আসে টুজি। ১জি-কে ছাপিয়ে বাজারে আসে এটি। এক্ষেত্রে ফোন কলগুলি ডিজিটালি এনক্রিপটেড। স্পেকট্রাম অনেক ক্ষমতাশালী। টুজিতেই প্রথম মোবাইলে ডাটা সার্ভিস আসে।


• ২.৫ জি


এরপর হার্ডওয়্যার ডেভেলপ করেছে। পরিকাঠামো বদলেছে। ডাটা স্পিডও বেড়েছে। আড়াই জি অফিশিয়ালি কখনও ছিল না। কিন্তু ওই থ্রিজি-র আগের ধাপে এটি ছিল। এই ধরণের নেটওয়ার্কে কী কী ছিল দেখুন:


ক. GPRS: General Packet Radio Service (৩০-৪০ কেবিপিএস)


ফোন বারে G লেখা এলে এই ধরণের নেটওয়ার্ক থাকে


খ. EDGE: Enhanced Data for GSM Evolution (১০০-১২০ কেবিপিএস)


E লেখা থাকবে। জিপিআরএস থেকে আলাদা। ২.৭৫জি নেটওয়ার্ক


• থ্রিজি


২০০৪ থেকে ০৭-এর মধ্যে এই নেটওয়ার্ক বাজারে চলে আসে। আরও অনেক ডাটা স্বাভাবিকভাবেই। ২ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিতে পারে এই নেটওয়ার্ক।


H (হাই স্পিড প্যাকেট অ্যাকসেস)


থ্রিজি থেকে দ্রুত ৩.৫ জিতে স্পিড থাকবে এতে।


• H+


হাই স্পিড অ্যাকসেস নেটওয়ার্কেরই আরও শক্তিশালী ভার্সান। ফোরজি বাজারে আসার আগে ছিল এটা। থ্রিজি নেটওয়ার্কে সবথেকে দ্রুত স্পিড ছিল এর। মোটামুটি ফোরজির ঘাড়েই কাছেই প্রায় নিঃশ্বাস ফেলেছিল এটি। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ফোরজি-র জাতে তোলেনি সেটিকে।


• ফোরজি


ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন এই ফোরজি নেটওয়ার্কের জন্য কিছু নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঠিক করে দিয়েছে। যাই হোক, এরও কিছু টাইপ আছে।


ক. LTE


১৫ এমবিপিএস স্পিড। থ্রিজিকে অনেকটাই পেছনে ফেলে এটি। ডেটা ট্রান্সমিশনের বিষয়টিও অনেকটাই উন্নত।


খ. WiMax


প্রথমে ওয়্যারলেস হোম ব্রডব্র্যান্ড সার্ভিসে ব্যবহার হত এটি। কিন্তু এখন মোবাইলেও চলে এসেছে। বর্তমানে ৪০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দেয়। কিন্তু কাজ চলছে। ঠিকঠাক হলে ১জিবিপিএস পর্যন্ত স্পিড উঠে যাবে ওয়াইম্যাক্সের।


তথ্যসূত্রঃ ঢাকা টাইমস