জেনারেটরটা ঘোড়ানো হয়

পাঁচমিশালী কৌতুক May 27, 2018 2,670
জেনারেটরটা ঘোড়ানো হয়

মন্টুর মা স্বপ্নে দেখলো তার মৃত্যু হয়েছে এবং স্বর্গবাস হয়েছে তার। একদিন স্বর্গের বাগানে ঘুরতে ঘুরতে এক দেয়ালের সামনে এসে তাজ্জব হয়ে গেল। দেওয়াল জুড়ে অনেক অনেক ঘড়ি, বিভিন্ন সাইজের তবে কোনো ঘড়িই খুব একটা ঘুরছে না। স্বর্গের এক প্রহরীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো এর কারণ।


প্রহরী: এসব হচ্ছে মিথ্যা মাপার ঘড়ি। দুনিয়ার সব মানুষের নামের একটি করে ঘড়ি আছে বেহেস্ত আর দোজখ দুইখানেই। আমরা এখানে বেহেস্তবাসীদের মাঝে যারা সবচেয়ে কম মিথ্যুক তাদের ঘড়ি ডিসপ্লে করেছি। তাই দেখতে পাবেন অনেক ঘড়ির কাঁটা হিলছেই না। তেমনি নরকে গেলে দেখবেন এমন একটি দেয়াল আছে সেখানে দুনিয়ার সেরা মিথ্যুকদের ঘড়ি আছে।


মন্টুর মা: এইখানকার বাকি ঘড়িগুলো কোথায়?


প্রহরী: গুণমান অনুযায়ী এই কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অফিসে, ওয়ার্কস্টেশনে রাখা আছে সেগুলো।


মন্টুর মা: তাইলে বাপু, আমার মন্টুর বাপের ঘড়িটা কই- একটু দেখাইবা আমারে?


প্রহরী: সেটাতো আমাদের অফিসে রাখা আছে, কেরানীর টেবিলে।


মন্টুর মা: সেখানে কেন?


প্রহরী: ওটাকে টেবিল ফ্যান হিসেবে ব্যবহার করছে বেচারা। ঘড়িটা এত জোরে ঘোরে যে বাতাস মন্দ বের হয় না...


জবাব শুনে মন্টুর মা কিছুটা দুঃখিত আর বিব্রত হলেও এটা মনে করে খুশি হলো, যাক বাবা। এতদিনে ওর আসল আমলনামাটা জানা গেল!


মন্টুর মা: আর আমার নামের ঘড়িটা!


প্রহরী: ও...ও...ও! সেটার কথা বলছেন! সেটাতো আমাদের জেনারেটর রুমে রাখা হয়েছে। জেনারেটর রুম থেকে আমাদের সবগুলো রুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, লাইট জ্বলে, ফ্যান ঘোরে...


মন্টুর মা: কেন কেন! আমার ঘড়ি জেনারেটর রুমে কেন?


প্রহরী: কারণ, ওটা দিয়ে জেনারেটরটা ঘোড়ানো হয়... আর এর ফজিলতেই আপনাকে স্বর্গে স্থান দেওয়া হয়েছে, ম্যা’ম...