সেই রাম রহিম এখন মাটি কাটেন! দৈনিক আয় ২০ টাকা!

আন্তর্জাতিক April 15, 2018 2,613
সেই রাম রহিম এখন মাটি কাটেন! দৈনিক আয় ২০ টাকা!

স্রেফ বুদ্ধির জোরে লাখো ভক্ত তৈরি করেছিলেন রাম রহিম। তৈরি করেছিলেন বিলাসবহুল আখড়া। অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছেন। পুরুষদের নপুংসক করেছেন। এখন সেই দিন আর নেই। তার 'মেয়ে' বলে পরিচিত হানিপ্রীতেরও একই হাল।


বিলাসী জীবন ছেড়ে কারাগারে দুজনেই এখন সাধারণ বন্দি। জেলে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে রাম রহিমের দৈনিক রোজগার এখন তার দৈনিক আয় ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ২০ টাকা! আর বাবার 'প্রাণাধিক প্রিয়' হানিপ্রীত নাকি এখন নিজের পরিবারের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।


দুই সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হয়েছেন রাম রহিম। তাকে রাখা হয়েছে সুনারিয়া জেলে। অন্যদিকে, রাম রহিম মামলার রায় দেওয়ার সময় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে হানিপ্রীতের বিরদ্ধে মামলা চলছে। আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে আম্বালা সেন্ট্রাল জেলে।


শোনা যায়, জেলে আসার পর দুজনেই অবসাদে ভুগতেন। কখনও দেখা দিত প্রবল অস্থিরতা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা। জেল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুজনের মধ্যে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাম রহিম। এখন নাকি তিনি নিয়মনিষ্ঠ ভদ্রলোক সেজে গেছেন। আগের রাম রহিম আর এখনকার রাম রহিমের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য।


রাম রহিমের চেহারার জেল্লা নাকি কেড়ে নিয়েছে কারাগারের বন্দি জীবন। তার দাঁড়ি এখন ধূসর। জেলের খামারে ফসল ফলানোর জন্য প্রতিদিনের হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়। জমির মাটি কাটতে হয়। রংচঙা জামাকাপড় ছাড়া যার চলত না, এখন তার পরনে কিনা সাদা কুর্তা এবং পায়জামা!


অন্যদিকে ঝকমকে পোশাকের নেশা ছাড়তে পারেননি হানিপ্রীত। তিনি পোশাকের জন্য বেশ আবদার করেন। জানা গেছে, রাম রহিমের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে তার পরিবার। সেই টাকায় জেলের ক্যান্টিন থেকে মাঝে মধ্যে সিংগাড়া কিনে খান রাম রহিম।


শোনা যায়, হানিপ্রীত নাকি প্রথম দিকে বাড়ি থেকে খাবার আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর সেই সুবিধা বেশি দিন ভোগ করতে পারেননি। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হানিপ্রীত নিজেকে আধ্যাত্মিক নারী বলে দাবি করেন। কিন্তু পূজা পার্বণে তার কোনো আগ্রহ নেই। এছাড়া তিনিও জেলের জীবনে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।


-সূত্র: আনন্দবাজার