স্মার্টফোন কেনার আগে যে সাতটি বিষয়ে ভাবতেই হবে

মোবাইল টিপস April 9, 2018 2,635
স্মার্টফোন কেনার আগে যে সাতটি বিষয়ে ভাবতেই হবে

আজকের দিনে স্মার্টফোন ছাড়া পকেট, কম্পাসবিহীন জাহাজের মতো। শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্যই নয়, স্মার্টফোনের সাহায্যে আপনি ছবি তোলা থেকে শুরু করে, কোনও তথ্য ডাউনলোড বা আপলোড করতে পারেন, ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন। এমনকী, অন্যান্য ফোন চার্জও করতে পারেন। নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন, চট করে জেনে নিন।


এক. বাজারে দুই ধরনের স্মার্টফোন পাওয়া যায়, ধাতব বডির ও প্লাস্টিক বডির। আপনার হাত থেকে প্রায়শই যদি ফোন পড়ে তবে চোখ কান বুজে আপনার ধাতব বডির ফোন কেনা উচিত।


দু্ই. পনার যদি বেশিরভাগ সময়েই ছবি এডিট, ভিডিও ও সিনেমা দেখার ঝোঁক থাকে তবে নিঃসন্দেহে ৫.৫ বা ৬ ইঞ্চি স্ক্রিনের ফোন কেনা উচিত।


তিন. ফোনের প্রসেসিং পাওয়ার ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনি যদি অনেক রকমের অ্যাপ ব্যবহার করেন, ছবি ও ভিডিও এডিট করেন, অথবা অনেক গেম খেলেন তবে আপনার জন্য সবথেকে ভাল হবে ‘কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২’ বা ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮২০’।


চার. ফ্রন্টই হোক বা ব্যাক, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বাড়লেই যে ছবি সবসময় ভাল আসবে এমনটা ভাবা ভুল। তাই ফোন কেনার সময় ক্যামেরার আইএসও, পিক্সেল সাইজ, অটোফোকাস ইত্যাদি দেখে ফোন কিনুন।


পাঁচ. ব্যবহারকারীদের উপর স্মার্টফোনের ব্যাটারিলাইফ নির্ভর করে। আপনি যদি দিনের অর্ধেক সময়ই ফোনে অ্যাপ ব্যবহার করেন তবে আপনার নূ্ন্যতম ৩৫০০ এমএইচের ব্যাটারি প্রয়োজন। তার থেকে কম ব্যবহার করলে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারিই যথেষ্ট।


ছয়. যেহেতু স্মার্টফোন বিষয়টি খুব ব্যক্তিগত, তাই ‘এক্সট্রা সিকিউরিটি’ যুক্ত ফোন যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশান, ফোল্ডার লক সিস্টেম ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখেই ফোন কেনা উচিত।


সাত. অনেক সময়ই নতুন ফোন কেনার কিছুদিনের মধ্যেই ফোনের অডিও সাউন্ড কমে যায় অথবা ভিডিও এডিটের সময় ঠিকমতো শব্দ শোনা যায় না। এসব থেকে মুক্তি পেতে ফ্রন্ট ফেসিং স্পিকারযুক্ত ফোন কেনা উচিত।