

‘মুঘল-ই-আজম’, ‘হাওড়া ব্রিজে’র মতো একাধিক ছবিতে তার অভিনয় মন জয় করেছিল ভারতীয় দর্শকদের। তার মুক্তো ছড়ানো হাসি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন হাজার হাজার প্রেমিক। সেই মধুবালার মৃত্যু নিয়েও একাধিক প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে। ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল মধুবালার? সেই রহস্যের সমাধান হয়নি। কারণ, তার শেষ মুহূর্তে পাশে কেউ ছিল না। মৃত অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ট্রাজিক কুইনের কবরটাও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি। ২০১০ সালে কবরস্থানের জায়গার অভাবে সেটি উৎখাত করে ফেলা হয়।
মীনা কুমারী : অতিরিক্ত মদ্যপানের নেশা কেড়ে নিয়েছিল এই প্রতিভাময়ীর জীবন। তার ‘পাকিজা’ ছবি যখন মুক্তি পায়, ঠিক তখনই লিভার সিরোসিসের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন মীনা কুমারী। মাত্র ৪০ বছর বয়সে জীবনের সেই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন।
গুরু দত্ত : ১৯৬৪ সালের এক সন্ধ্যায় অতিরিক্ত মদ্যপানের পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন পরিচালক-অভিনেতা গুরু দত্ত। তবে, সেটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা, তা আজও স্পষ্ট নয়। তার পরিবার দাবি করে, এই মৃত্যু আসলে দুর্ঘটনা। স্ত্রী গীতা দত্তের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ অবসাদের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল গুরু দত্তকে। সেই অবসাদ থেকেই তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
সিল্ক স্মিতা : বিজয়লক্ষ্মী ভাদলাপাতি ওরফে সিল্ক স্মিতা। আটের দশকের সিনেমায় আইটেম ড্যান্সের প্রচলন করে ভারতীয় দর্শকদের মনে ঝড় তুলেছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি। মাত্র ১৭ বছরের মধ্যে ৪৫০টি ছবিতে অভিনয় করে রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু যত সাফল্য এসেছে, ততই অবসাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন ওই অভিনেত্রী। বারবার প্রেমে ব্যর্থতা তাঁকে জীবনবিমুখ করে তুলেছিল। তার থেকেই মদ্যপান। ১৯৯৬ সালে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
প্রিয়া রাজবংশ : সাতের দশকে অন্যতম সুন্দরী নায়িকা প্রিয়া রাজবংশকে খুন করা হয়েছিল। তাঁর ‘হীর-রাঞ্ঝা’ এবং ‘ হাসতে জখম’র মতো ছবি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গ্ল্যামারের দুনিয়া থেকে তিনি কিছুটা দূরেই অবস্থান করতেন। ২০০০ সালে তাকে ‘খুন’ করা হয়। যদিও পুলিস প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। পরে জানা যায়, তার পরলোকগত স্বামী চেতন আনন্দের ছেলে সম্পত্তির লোভে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল।
পরভীন বাবি : ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে অত্যন্ত রহস্যজনক পরিস্থিতিতে পরভীন বাবির দেহ উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি একা বসবাস করতেন। তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, আত্মহত্যা কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
দিব্যা ভারতী : বলিউডের সবথেকে রহস্যজনক মৃত্যু দিব্যা ভারতীর। মাত্র ১৯ বছর বয়সে মুম্বইয়ের একটি বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। আজও স্পষ্ট নয়, বহুতল থেকে তিনি কীভাবে পড়ে গেলেন? কেউ তাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল না কি মদ্যপানের জেরে বেসামাল হয়ে পড়ে যান? উত্তর এখনও মেলেনি।
জিয়া খান : রামগোপাল ভর্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান। ২০১৩ সালের ৩ জুন জুহু’র অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তার লাশ। জিয়ার মা রাবিয়া খান দাবি করেন, মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছে। সূরজ পাঞ্চলির ছেলে আদিত্য পাঞ্চলির দিকে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন। আদিত্যর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল জিয়ার। সেই মামলা এখনো চলছে। রহস্যের সমাধান হয়নি।







