কবর দেয়ার পর এগারো দিন পর্যন্ত জীবিত

ভয়ানক অন্যরকম খবর February 21, 2018 3,867
কবর দেয়ার পর এগারো দিন পর্যন্ত জীবিত

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ ছোটগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করেছিলেন যে, সে মরে নাই। এবার ব্রাজিলের এক নারী মরে প্রমাণ করলেন তাকে কবর দেয়ার পরও ১১দিন তিনি জীবিত ছিলেন।


রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোস নামে ৩৭ বছর বয়সি ওই নারী বাস করতেন রিয়াচও দাস নেভেস কাউন্টিতে। তাকে মৃত ভেবে সমাহিত করার পর ১১ দিন পর্যন্ত তিনি ওই কবরে কফিনের ভেতর জীবিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত মাসে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিবার। সাত দিন চিকিৎসা চলার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যু সনদ অনুযায়ী, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সেপটিক শকে তার মৃত্যু হয়। পরের দিন রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার।


রোজংলাকে কবর দেওয়ার পর থেকেই কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারীরা কবরের ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পান। তবে সবাই প্রথমে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। কারণ তারা ভেবেছিলেন আশপাশে হয়তো বাচ্চারা খেলছে। তাদেরই চিৎকার। তবে যখন প্রত্যেকদিন একই রকম আওয়াজ তারা শুনছিলেন, তখন কিছুটা শঙ্কিত হয়ে রোজংলার পরিবারকে খবর দেন। পরবর্তী সময়ে কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সত্যিই মারা গিয়েছেন তিনি।


কবর থেকে রোজংলার কফিন তোলার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কফিনটি খোলার পর অনেককে বলতে শোনা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা। কেউ একজন রোজাংলার পায়ে হাত দিয়ে বলছেন, শরীর এখনও উষ্ণ আছে। এছাড়া রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা তার মৃত্যুর সময় ছিল না। এটা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কফিনের পেরেকগুলো উপর দিকে উঠে ছিল। কফিনের ভেতরে রক্ত ও নখ দিয়ে আঁচড়ানোর দাগও ছিল।


রোজংলা সান্তোসের বোন ইসামারা আলমেইদা স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষৎকারে বলেন, আমরা চিকিৎসকদের দোষ দিতে চাই না, কোনো মামলাও করতে চাই না, কিন্তু আমরা পুরো বিষয়টা দেখেছি, কোনো মানুষকে মাটি দেয়ার ১১ দিন পরও তার দেহ উষ্ণ থাকবে- এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।


রোজংলার পরিবারের দাবির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ প্রধান অরনাল্ডো মন্টে। তিনি বলেন, ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপাত্র।


তথ্যসূত্রঃ অনলাইন