চানাচুরের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

আন্তর্জাতিক February 16, 2018 1,786
চানাচুরের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে চানাচুর কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করেছে এক তরুণ। এমনকি ধর্ষণের পর ওই শিশুকে খুন করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার খাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ১৯ বছরের এক তরুণকে মামা বলত ৫ বছরের শিশুকন্যাটি। ওই যুবকের যাতায়াত ছিল শিশুটির বাড়িতে। সেই সুবাদে বাচ্চাটি চানাচুর কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল। আর সেটাই তার জন্য কাল হল। প্রতিবেশী মামার যৌন লালসার বলি হতে হল মেয়েটিকে। পরে পাড়ারই এক পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুর মৃতদেহ।


নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিবেশী যুবক জাহাঙ্গির শেখ তাকে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। চানাচুর কিনে দেবে বলেছিল। সেই থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। অভিযোগ জাহাঙ্গিরই শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করে।


পূর্ব বর্ধমানের (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, নিহত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গির শেখকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই শিশুরা চার বোন। সে ছোট ছিল। মেয়েটির বাবা অন্য একটি রাজ্যে দিনমজুরের কাজ করেন। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি আসেন। শিশুটির বাড়ি থেকে তিন-চারটি বাড়ির পরেই জাহাঙ্গিরদের বাড়ি। জাহাঙ্গিরও রাজমিস্ত্রির কাজ করে। অন্যরাজ্যে থাকত। কয়েকদিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে সে বাড়ি এসেছিল।


মৃত শিশুর মা বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গির আমাদের বাড়ি আসে। তখন আমার মেয়ে তার কাছে চানাচুরের জন্য বায়না করে। জাহাঙ্গির আমার মেয়েকে কোলে চাপিয়ে দোকানের দিকে নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে মেয়ের খোঁজ পাইনি।


প্রায় এক ঘণ্টা পর জাহাঙ্গির তাদের বাড়িতে আসে এক প্যাকেট চানাচুর হাতে। বলে মেয়েকে দিতে। তখন মেয়েটির বাবা জাহাঙ্গিরের কাছে জানতে চায় তার সন্তান কোথায়? জাহাঙ্গির তখন স্বাভাবিকভাবে জানিয়েছিল বাচ্চাটিকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।


শিশুকন্যাকে না পেয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুজি শুরু করে দেন। পাশাপাশি জাহাঙ্গিরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেউ যাতে সন্দেহ না করে তার জন্য মেয়েটিকে খোঁজার অভিনয় করতে থাকে সে।


রাতে পুলিশের কাছেও জানানো হয়। বৃহস্পতিবার খোঁজাখুজির পর জাহাঙ্গিরের বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের জলে ওই একরত্তির দেহ ভাসতে দেখা যায়। তখনই স্থানীয়রা আটক করে জাহাঙ্গিরকে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। নৃশংস অত্যাচার করেই শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। স্থানীয়রা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন