মুখের যত্নে তেল

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস February 12, 2018 2,802
মুখের যত্নে তেল

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ‘ফেইস অয়েল’ পাওয়া যায়। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সঠিক তেল ব্যবহার করতে পারলে ব্রণ থেকে শুরু করে অনেক সমস্যা থেকেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।


রূপচর্চাবিষয়ক কয়েকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ব্রণে আক্রান্ত, শুষ্ক, মলিন কিংবা বয়সের ছাপ পড়ছে- এমন সব ত্বকের জন্য কোন ধরনের ‘ফেইশল অয়েল’ ব্যবহার করা উচিত- তার কয়েকটি নমুনা এখানে দেওয়া হল।


ব্রণ প্রবণ ত্বক: ব্রণ ও দাগছোপ নারীদের জন্য এমন যেন নাছোড়বান্দা সমস্যা, যা কমবেশি সবারই পোহাতে হয়। প্রচলিত বিশ্বাস আছে যে, ‘ফেইশল অয়েল’ ত্বকে ব্রণ এবং ‘সিবাম’ বাড়ায়। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়।


যদি ঠিক তেল নির্বাচন করেন তাহলে মুখের ত্বক মসৃণ হবে। ব্রণ এবং ব্ল্যাক হেডস’য়ের কারণে হওয়া দাগছোপ দূর করবে।


ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য নিমের তেল উপযুক্ত এবং এটা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া রোধে কাজ করে। যাদের ত্বক ব্রণ প্রবণ তাদের জন্য নিমের তেল সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।


শুষ্ক ত্বকের জন্য: সাধারণত সব ধরনের তেলই কার্যকর। তবে গোলাপ, পাম, নারিকেল এবং ক্যামেলিনা তেল ত্বকের স্থিতিস্থপকতা ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। এই তেলগুলো হালকা এবং খুব সহজে ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে এবং ত্বকের ক্ষয় পূরণের মাত্রা বাড়ায়।


বয়স্ক ত্বকের জন্য: চামড়ায় সূক্ষ্ম রেখা ও ভাঁজের মাধ্যমে ত্বকে বয়সের ছাপ ফুটে ওঠে। বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকের কোষকলা ও স্থিতিস্থাপকতা হারাতে থাকে। ফলে চামড়া ঝুলে পড়া, সূক্ষ্ম দাগ ও বলিরেখা দেখা দেয়।


অ্যাভাকাডো, ডালিম ও সামুদ্রিক তেল বুড়োটে হতে থাকা ত্বকের বয়স্ক-চিহ্ন দূর করে। রাখে সুস্থ ও মসৃণ।


বিবর্ণ ও মলিন ত্বক: অতিরিক্ত দূষণ, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে ত্বক স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে এবং মলিন হয়ে যায়। ‘রোজ হিপ’ বা গোলাপের ফলের বীজের তেল ব্যবহারে মুখ ও শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।


এই তেল ‘ভিটামিন সি’ এবং ‘ভিটামিন এ’ সমৃদ্ধ- যা ত্বকের বিবর্ণভাব ও দাগছোপ এমনকি সূর্যের কারণে হওয়া ক্ষয় ও কালচে-ভাব হালকা করতে সাহায্য করে।


আর্গন তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটা ত্বক পুনর্গঠন করে, উন্নত করে, দাগছোপ দূর করে এবং উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।