

শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে পা রেখে অনেকেই হারিয়ে গেছেন। অনেকে আবার আছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আমির খান, শ্রুতি হাসান, টাবু, কঙ্কনা সেন শর্মা, উর্মিলা মাতোণ্ডকার, আয়েশা টাকিয়া, আলিয়া ভাট, কুনাল খেমু, ইমরান খানদের শিশুশিল্পী হিসেবেই আগমন। পরিণত শিল্পী হিসেবেও পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। এমন কয়েকজন শিশু শিল্পী বা খুদে তারাদের খোঁজ দেয়া হল:
জিবরান খান:
কৃশকে মনে আছে? হৃতিক রোশন নন। ছোট্ট সেই কৃশ। ‘কভি খুশি কভি গাম’ ছবিতে শাহরুখ-কাজলের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিল। স্কুলের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে মাঝপথে ভুলে গিয়েছিল যে মিষ্টি ছেলেটা। তাঁর আসল নাম জিবরান খান। জিবরানের বাবা ফিরোজ খান। এই ফিরোজ বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে অর্জুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যাইহোক, জিবরান আর সেই ছোট্টটি নেই। এখন তিনি মার্শাল আর্ট, হর্স রাইডিং ও কত্থকের প্রশিক্ষণ নিয়ে বলিউডে একটা ভালো সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছেন। করণ জোহরের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী সেই ছোট্ট কৃশ।
হানসিকা মোতওয়ানি:
‘কোই মিল গায়’ ছবিতে হৃতিকের দলবলের মধ্যে ছিলেন। চরিত্রের নাম ছিল প্রিয়া। এছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে পাওয়া গিয়েছিল হংসিকা মোতওয়ানিকে। যদিও ক্যারিয়ার শুরু ‘সাকা লাকা বুম বুম’ চেলি সিরিজ দিয়ে। অভিনয় করেছেন ‘দেশ মে নিকলা হোগা চাঁদ’ ধারাবাহিকেও। যদিও সবক্ষেত্রেই ছিলেন শিশুশিল্পী। পরে পুরোপুরি নায়িকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ তেলুগু ছবিতে। তখন বয়স মাত্র ১৬। ওই ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ারের (দক্ষিণ) ডেবু অ্যাকট্রেসের অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিলেন। বলিউডে তাঁকে পাওয়া গিয়েছিল ‘আপ কা সুরুর’ ছবিতে। এখন অবশ্য পুরোপুরি দক্ষিণী ছবিতেই মনোনিবেশ করেছেন হানসিকা।
সানা সাইদ:
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির আরও এক শিশুশিল্পী সানা সাইদ। শাহরুখ-রানির মেয়ে অঞ্জলি চরিত্রে তিনি সকলের মনজয় করে নিয়েছিলেন। এরপর ‘বাদল’,‘হর দিল জো পেয়ার করেগা’ র মতো একাধিক ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ -এও একটা গৌণ চরিত্রে পাওয়া ছিল তাঁকে। এখনো বলিউডে ভাগ্যান্বেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন সানা। ‘বাবুল কা আঙ্গন ছোটা না’,‘ঢলক দিখলা জা’-র মতো ছোট পর্দার শোতেও কাজ করেছেন তিনি।
আয়েশা কাপুর:
জীবনের প্রথম ছবিতেই সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসাবে জিতে নিয়েছিলেন ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। তিনি আয়েশা কাপুর। অভিনয় করেছিলেন রানি মুখার্জির ছোটবেলার চরিত্রে। আয়েশা নামে হয়তো অনেকেই চিনতে পারলেন না। ছোট্ট এই মেয়েটির চরিত্রের নাম ছিল মিশেল। এবার সকলেই ধরে ফেলেছেন ছবিটি সঞ্জয়লীলা বনসালির ‘ব্ল্যাক’। তাঁর মা জার্মান, বাবা ভারতীয়। শেষবার ‘সিকান্দার’ ছবিতে নাসরিন চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আহসাস চান্না:
‘কভি আলবিদা না কহে না’ ছবিতে শাহরুখ-প্রীতির ছেলে ছোট্ট অর্জুনকে এখনো অনেকের মনে আছে। সেই অর্জুন আদতে একজন মেয়ে। নাম আহসাস চান্না। তাঁর বাবা ইকবাল বাহাদুর সিং চান্না পাঞ্জাবি ছবির প্রযোজক এবং মা কুলবির চান্না টেলি অভিনেত্রী। আহসাসের প্রথম ছবি কিন্তু রামগোপাল ভার্মার হরর ফিল্ম ‘বাস্তুশাস্ত্র’। বেশকিছু দক্ষিণী ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। এখন অবশ্য টেলিভিশনেই মনোনিবেশ করেছেন আহসাস।
জনক শুক্লা:
তথ্যচিত্র নির্মাতা হরিল শুক্লা এবং অভিনেত্রী সুপ্রিয়া শুক্লার মেয়ে জনক শুক্লা। ‘কাল হো না হো’ ছবিতে জয়া ভাদুড়ির দত্তক কন্যা গিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ‘করিশ্মা কা করিশ্মা’ এবং ‘সোন পরী’ র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। এখন বিজ্ঞাপনের মডেলিং আর মিউজিক ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত জনক।
পরজান দস্তুর:
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ – এ সেই ছোট্ট পাঞ্জাবি বাচ্চাটাকে মনে পড়ছে, যাকে কিছুতেই কথা বলানো যেত না। শুধু ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’কেন! ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘মহাব্বতে’,‘জাভেদা’,‘কভি খুশি কভি গম’-এর মতো একাধিক বক্স অফিস কাঁপানো ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে পাওয়া গিয়েছে পরজান দস্তুরকে। ২০০৯-এ পীযূষ ঝার ‘সিকান্দার’-ছবিতে তাঁকে প্রথম লিড রোলে পাওয়া যায়। কলেজ পাশ করানোর পর কিন্তু সহকারী পরিচালকের কাজে মনোনিবেশ করেন পরজান। সহকারী পরিচালক হিসাবে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমায় করণ জোহরের সহকারী ছিলেন। এছাড়াও ‘গোরি তেরি পেয়ার মে’,‘ফিতুর’ -এর মতো ছবিতেও সহকারীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
মালবিকা রাজ:
‘কভি খুশি কভি গাম’ ছবিতে করিনা কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই ছোট্ট পূজার আসল নাম মালবিকা রাজ। তাঁর ফুপি হিন্দি ছবির এক সময়ের নায়িকা অনীতা রাজ। দাদা জগদীশ রাজ ছিলেন চরিত্রাভিনেতা। মালবিকা পরে একটি তেলুগু ছবিতেও কাজ করেন। তবে, এখন তাঁর ক্যারিয়ার মডেলিং।
পুজা রুপারেল
১৯৯৫ সালের বিখ্যাত সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমায় কাজলের বোন চুটকি চরিত্রের জন্য তিনি পরিচিতি পান। এরপর থিয়েটার ও টেলিভিশন সিরিয়ালে কাজ করেন। অনিল কাপুরের বিখ্যাত সিরিজ ‘২৪’-এর ভারতীয় ভার্সনেও কালার্স টেলিভিশনে তাকে দেখা যায়।







