যে ভুলগুলো বিচ্ছেদ ডেকে আনে!

লাইফ স্টাইল January 27, 2018 1,534
যে ভুলগুলো বিচ্ছেদ ডেকে আনে!

প্রেম-ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তার দান। মানুষ ভালোবাসা পেতে ব্যাকুল। প্রেমে যখন দুজনের বোঝাপড়া ভালো হয়, তখন পৃথিবীতে পাওয়া যায় স্বর্গের সুখ। কিন্তু সেই প্রেমে যখন দূরত্ব সৃষ্টি হয়, কাছে থেকেও আপন মানুষটা দূরের মানুষের মতো আচরণ করে। তখন পৃথিবীটাই যেন নরক হয়ে ওঠে।


আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কিছু কারণ. . .


মাত্রারিতিক্ত সন্দেহ

মাত্রারিতিক্ত সন্দেহে সম্পর্ক বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। আপনি কি জানেন একটা সম্পর্ক শুরু হয় একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস দিয়ে। সেই বিশ্বাসের খুঁটি যখন নড়বড়ে হয়ে যায়, তখন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই মুশকিল।


ফেসবুক, ই-মেইল আইডির পাসওয়ার্ড চাওয়া

সবার মধ্যেই কিছু কিছু গোপনীয়তা থাকে, যা কখনও কাউকে বলা যায় না। এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষটিকেও না। তার গোপনীয়তা তার মধ্যেই থাকতে দিন। সব ব্যাপারে নাক গলাবেন না। এতে সম্পর্কের মধ্য থেকে বিশ্বাসই উঠে যায়।


সব কাজের হিসাব চাওয়া

দেখুন স্বাধীনতা বলতে একটি ব্যাপার আছে। স্বাধীনতা আমিও চাই, আপনিও চান। তাই অযথা প্রিয় মানুষটির কাছে সব কাজের হিসাব চেয়ে সম্পর্ককে বিষিয়ে তুলবেন না।


ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা

এটি করবে না, ওটা তুমি কেন করলে, আমাকে না জানিয়ে এমন কাজ করার সাহস তুমি কোথায় পেলে? এজাতীয় কথা সম্পর্ককে ফাটল ধরায়। এজাতীয় কথা এড়িয়ে চলুন। এক্ষুণি তোমাকে এটি করতে হবে- আদেশের সুরে কথা না বলে অনুরোধের সুরে কথা বললে কাজ বেশি হয়। যখন আপনি তাকে বেশি আদেশ করবেন, তখন সে ভেবে নেবে আপনি তাকে তুচ্ছজ্ঞান করছেন। যার দরুণ, আপনার থেকে তার ভালোবাসা ওঠে যাবে।


মিথ্যা বলা

মিথ্যা বলা মহাপাপ, সেটি আমরা সবাই জানি। আপনি জানলে আশ্চযই হবেন, কিছু কিছু সময় আপনার ছোট ছোট মিথ্যা সম্পর্কের রশিকে ঢিলা করে দেয়।


না বুঝে তার সব কথায় সায় দেওয়া

অনেকে আছেন, এমন ভাবেন যে- আমার কাছের মানুষ কি ভুল বলতে পারে নাকি?.তাই তার সব কথা না বুঝে না শুনে শুধু হয়, হয় করেন। আপনি জানেন, এতে আপনার সঙ্গী চরম বিরক্তিবোধ করেন। তিনি চান, আপনি তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন, এর পর ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিন।


প্রতিটা সম্পর্কই টিকে থাকে দুজনের চেষ্টায়

আপনি চাইলেই সেই সম্পর্ক অনেক সময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাই কাছের মানুষকে সময় দিন। তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আর তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে এগিয়ে যান। তবেই সম্ভব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা।