

এই নিয়ে অবশ্য গর্বিত নন তিনি। এই কাদা খাওয়ার জঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বড় কষ্টের একটি কারণ। সেই কারণ যখন তিনি প্রকাশ করেন তখন বেরিয়ে পড়ে দেশের অন্তঃসার শূন্য এক আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা। যে দেশে বুলেট ট্রেনের পরিকল্পনা হয় সেদেশের মানুষ এখনও ক্ষিদে মেটাতে কাদা খান।
কারু পাশোয়ান বলেন, এখন আমার কাদা খাওয়া একটি দর্শনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা সময় ছিল যখন খাবার না পেয়ে ক্ষিদের জ্বালায় পেট ভরাতে কাদা খেতে বাধ্য হয়েছিলাম। যে শৈশব কাটে খেলাধুলা করে, সেই শৈশব আমি কাটিয়েছি খাবারের খোঁজে।
তিনি জানান, খাবার না পেয়ে কাদা খেয়ে পেট ভরাতাম। যত বড় হয়েছি দারিদ্রের চাপ আরও বেড়েছে। আমার ১০টা ছেলে মেয়ে। তাদের মুখের ভাত তুলে দিতে গিয়ে আর নিজের খাওয়ার কিছু থাকত না।
একটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে মরতে চাইতাম। মরার জন্যই বলতে গেলে কাদা আরও বেশি করে খেতে শুরু করি। সেটা ক্রমে নেশার মত হয়ে গিয়েছে। এখন পেটভরা ভাত খেতে পাই ঠিকই, কিন্তু এক কিলোগ্রাম কাদা না খেলে ঘুম হয় না।
যদিও এরপরেও ৯৯ বছর সুস্থ শরীরে বেঁচে রয়েছেন কারু পাশোয়ান। এই বিরল খাদ্যাভ্যাসের জন্য ২০১৫ সালে বিহারের সবর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছেন।








পাঠকের মন্তব্য (0)
Please login To write comment