এক্ষুণি বিমান নামান, নইলে সবাইকে মেরে ফেলবো

সাধারন অন্যরকম খবর December 14, 2017 3,078
এক্ষুণি বিমান নামান, নইলে সবাইকে মেরে ফেলবো

একটা সিগারেট দিয়ে শুরু। বিমানটা যখন পোর্টল্যান্ড আর স্যাক্রামেন্টোর মাঝামাঝি আকাশে উড়ছে তখন এর যাত্রী বাথরুমে গিয়ে সিগারেট জ্বালিয়েছেন। বিমানের স্মোক ডিটেক্টরে সংকেত বেজে উঠল। ছুটে এলেন একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। আর তারপরই যেন নেমে এলো নরক। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট ২৯৪৩ এর ঘটনা তুলে ধরেছে। গত শনিবারের ঘটনা। বিমানের ক্রু তাকে বাথরুমে সিগারেট পানে বাধা দিলেন এবং তাকে নিজের সিটে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন। রাগে ফেটে পড়লেন ওই নারী। বিমানের ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা অক্সিজেন মাস্ক টেনে ছিঁড়ে ফেলার জোগাড় করলেন। নারীর পরনে ছিল ওভারকোট, মাথায় হ্যাট আর চোখে সানগ্লাস। অনেকেই তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। পাশের যাত্রী তার ট্যাব থেকে মুখ তুলে চাইতেই তিনি চিৎকার করলেন, 'আমি নিজের পথে নিজে রয়েছি। করিডোরে তাখে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন ক্রু। কিন্তু তিনি হুমকি দিলেন, শপথ করে বলছি, আপনি যদি এখনই বিমান মাটিতে না নামান, তবে এই বিমানের সবাইকে মেরে ফেলবো। এক্ষুণি নামান, নইলে সবাইকে মেরে ফেলবো। ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে হুমকি দিলেন তিনি। জবাবে ক্রু বললেন, আপনি এটা করতে পারেন না। তবুও নারীর হুমকি, আমি এটা করবো। পরে সংবাদমাধ্যমকে ওই বিমানের এক যাত্রী জানান, পরের আধাঘণ্টা বিমানের সব যাত্রী মিলে ওই নারীকে থামানোর চেষ্টা করেছেন। সবাই মিলে যেন তাকে পাহাড়া দিচ্ছিলেন। এদিকে, পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। তিনি স্যাক্রামেন্টোতে সময়ের কিছু আগে-পরে অবতরণ করতে পেরেছিলেন। ওই মুহূর্তে অবশ্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি আটক করেন ২৪ বছর বয়সী ভ্যালেরি কার্বেলোকে। হত্যার হুমকি প্রদানের জন্যে তাকে জেল দেওয়া হয়েছে। জামিন নিতে জরিমানা গুনতে হবে ৭৫ হাজার ডলার। সাংবাদিকরা ভ্যালেরিকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি বিমানের বাথরুমে কেন সিগারেট খাচ্ছিলেন? জবাবে তিনি জানান, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা থেকেই তিনি কাজটি করেছিলেন। কিন্তু আপনি বিমানের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন, কেন? এ প্রশ্ন অপ্রকৃতস্থের মতো লাগলো তাকে। বললেন, জানি না কেন বলেছিলাম। ওটা আমি ছিলাম না, আমার ভেতরে অন্য কেউ ছিল। সূত্র : এনডিটিভি