শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

বিবিধ টেক December 10, 2017 1,899
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

যশোরে অবস্থিত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ ডিসেম্বর রোববার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার পার্কটির উদ্বোধন করেন তিনি।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হাইটেক পার্কগুলো রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারবে। যশোরের মতো স্থানে এমন একটি আধুনিক সুযোগ সম্বলিত একটি পার্ক মানুষের আকৃষ্ট করবে।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি এই ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক’। এটি আমাদের দেশে এক খণ্ড সিলিকন ভ্যালি। প্রধানমন্ত্রী মানা করেছিলেন তার নামে যশোরের হাইটেক পার্ক এর নাম করণ না করতে। কিন্তু সরকারের অর্থায়ণে এটি প্রথম হাইটেক পার্ক। এই বিষয়টি স্বরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নামে এই হাইটেক পার্কের নামকরণ করা হয়।


শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক প্রকল্প পরিচালক সূত্রে জানা যায়, এই সফটওয়্যার পার্কে ৫৫টি প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, চাকলাদার করপোরেশন, সাজ টেলিকম ও অংসু। তবে শুধুমাত্র ৫৫টি প্রতিষ্ঠান নয়, আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানকে স্থান বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে ভাবছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।




‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক’ এর ১২ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি বিল্ডিং । ছবি: প্রিয়.কম


এর আগে ৫ অক্টোবর যশোরের এই হাইটেক পার্কে দিনব্যাপী চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় অংশ নিয়েছিল ৩০টিরও বেশি প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান


হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষসূত্রে জানা যায়, যশোরের বেজপাড়া এলাকায় ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। চলতি মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।




শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক। ছবি: প্রিয়.কম


এই হাইটেক পার্কে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে ১৫ তলা বিশিষ্ট মাল্টি-টেন্যান্ট বিল্ডিং, আন্তর্জাতিক থ্রি-স্টার মানের আবাসন ও জিমনেসিয়ামের সুবিধাসহ ১২ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি বিল্ডিং, একটি ক্যান্টিন ও এ্যাম্ফিথিয়েটার। ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা থাকছে এতে।


উল্লেখ্য, রূপকল্প-২০২১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অর্জনের লক্ষ্যে দেশের সকল বিভাগ, জেলায় হাই-টেক বা আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ পর্যন্ত ২৮টি হাই-টেক/আইটি পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার।