গ্রহাণুর আঘাতেই ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা!

বিজ্ঞান জগৎ November 21, 2017 2,439
গ্রহাণুর আঘাতেই ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা!

পৃথিবীর শেষের দিন খুব তাড়াতাড়িই আসতে চলেছে বুঝি!না কোনও গুজব বা ভবিষ্যতৎ বক্তা একথা বলছেন না। জানাচ্ছে স্বয়ং মার্কিন স্পেস রিসার্চ এজেন্সি নাসা। সম্প্রতি একটি মার্কিন সংবাদপত্র নাসাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে একটি গ্রহাণুর। তাতেই চিরতরে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা।


নাসা জানিয়েছে, ওই গ্রহাণুটির নাম অ্যাপোফিস। ২০০৪ সালেই প্রথম নজরে পড়েছিল গ্রহাণুটি। এরপর গত ১৭ বছর ধরেই গ্রহাণুটির দিকে নজর রাখছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আর শেষপর্যন্ত তারা জানালেন ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে গ্রহাণুটির।


এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ডুয়েন ব্রাউন নামে ওয়াশিংটনের হেডকোয়ার্টারের এক কর্মকর্তা। স্টিভ চেসলি নামে নাসার এক বিজ্ঞানী এবং পল খোদাস ২০০৯ সাল থেকে গ্রহাণুটির উপর পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। তারপরেই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ২০৩৬ সালের ১৩ এপ্রিল পৃথিবীতে আঘাত হানবে অ্যাপোফিস।


ডেভ থোলেন নামে এক বিজ্ঞানী এবং তার সহকারীরাও একই দাবি করেছেন। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নাসা তার ওয়েবসাইটেও এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে।


তবে শুধু ২০৩৬ নয়, ২০২৯ এবং ২০৬৮ সালেও পৃথিবীর খুব কাছ থেকে উড়ে যাবে অ্যাপোফিস। যা থেকেও রয়েছে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা। এর আগে গুজব ছড়িয়েছিল, ১৯ নভেম্বর ২০১৭ সালেই পৃথিবীতে মানবজাতির শেষদিন। ওই দিনই ‘নিবিড়ু’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’ নামে একটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে পৃথিবীর। কিন্তু বাকি সব কিছুর মতো এটিও মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে, ডেভিড মিয়াডে নামে এক ভবিষ্যৎবক্তার মতে, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরই পৃথিবীর শেষের দিনের শুরু হয়ে গিয়েছে।


আগামী সাত বছরে ভূমিকম্প, সুনামি, অগ্নুৎপাত-সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে মানবসভ্যতা। এছাড়া তার আরও দাবি ‘নিবিড়ু’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’ ইতিমধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে ফেলেছে।