বাহুবলী হতে গিয়ে হাতির থাপ্পড়ে অজ্ঞান যুবক

সাধারন অন্যরকম খবর November 15, 2017 2,614
বাহুবলী হতে গিয়ে হাতির থাপ্পড়ে অজ্ঞান যুবক

ভারতের 'বাহুবলী ২' সিনেমায় নায়ক প্রভাস যেভাবে হাতির শুঁড়ে চড়ে লাফ দিয়ে উঠে যুদ্ধ করছিলেন, অনেকটা সেরকম হতে চেয়েছিলেন কেরালার থোড়ুপুজা শহরের জন নামে এক যুবক। আগে থেকে যে কোনও পরিকল্পনা ছিল, তাও নয়। রাবার বাগানে হাতি 'পর্থন'কে দেখেই বাহুবলী হওয়ার ইচ্ছাটা জাগে জনের।


'পর্থন'-এর মাহুত নেই সঙ্গে, আর বন্ধুর মোবাইলতো আছেই - তাই ফেসবুকে 'লাইভ' স্টান্টই দেখানো যাক- ভাবনাটা তাদের এমনই ছিল। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। কাছের দোকান থেকে জন কিনে আনলেন কিছু ফল, বন্ধুর মোবাইল দিয়ে শুরু হলো ফেসবুক লাইভ।


শুরুটা ঠিকই ছিল - কিন্তু ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যেই সব ওলোটপালট হয়ে গেল- একেবারে আক্ষরিক অর্থেই। ঘটনাটা গত রবিবারের।


কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জন বেড়াতে গিয়েছিলেন থোড়ুপুজার রাবার বাগানে। হঠাৎই 'পর্থন' নামের হাতিটিকে তারা দেখতে পান রাবার বাগানের জঙ্গলে ঘুরছে নিজের মনে। সঙ্গে মাহুতও নেই। তখনই ঠিক হয় 'বাহুবলী'র মতো স্টান্ট করবেন জন আর বাকিরা সেটা ফেসবুক দিয়ে লাইভ করবেন।


ওই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে, তাতে দেখা যাচ্ছে হাতে প্লাস্টিকের প্যাকেট নিয়ে এক ব্যক্তি এগিয়ে যাচ্ছেন- একটু দূরে দাঁড়িয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি।


কেরালার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে ওই ব্যক্তির নামই জন, তিনি চিনিকুঝির বাসিন্দা। জনের দেয়া ফলগুলো শুঁড় দিয়ে খেয়ে নিচ্ছিল হাতিটি। তারপরে একবার ফিরে এসে আরও ফল নিয়ে গেলেন জন - সেটাও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।


আর এই দ্বিতীয়বার ফল খাওয়ানোর সময়েই বোধহয় জনের আত্মবিশ্বাসটা একটু বেড়েই গিয়েছিল। হাতিটির শুঁড়ে হাতট বুলিয়ে তিনি বোধহয় আরেকটু বন্ধুত্ব পাতাতে গিয়েছিলেন যাতে স্টান্ট করার সময়ে সে ঝামেলা না করে।


ভিডিওতে এই সময়েই শোনা যাচ্ছে যে বন্ধুরা নিষেধ করছে অত কাছে না যেতে। সেসব বোধহয় জনের কানে ঢোকেনি। তিনি তখন পা ঝাঁকিয়ে ওয়ার্ম আপ করে তৈরি হচ্ছেন শুঁড়ে চাপার জন্য।


হঠাৎই হাতিটি শুঁড় দিয়ে ধাক্কা দেয় - আর তাতেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। বন্ধুদের আর্তচিৎকার শোনা যায়।


দেখা যায় বেশ কিছুটা উড়ে গিয়ে জন আছাড় খেয়ে পড়লেন মাটিতে। হাতিটি আর এগিয়ে আসেনি। কিন্তু জন নি:সাড়েই পড়ে ছিলেন। তার বন্ধুরা ডাকাডাকি করছিলেন - কোনও সাড়া শব্দ নেই কয়েক সেকেন্ড। তবে একটু পরে বোঝা গেল প্রাণে বেঁচে আছেন।


কেরালার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছে, ২৫ বছর বয়সী জিনু জন এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন - তার ঘাড় ভেঙে গেছে, চিকিৎসা চলছে।