নিমের ১০টি বিস্ময়কর উপকারিতা

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস November 12, 2017 1,345
নিমের ১০টি বিস্ময়কর উপকারিতা

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ঔষধি গাছ হিসেবে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে গত ৫ হাজার বছর ধরে। প্রকৃতি কী করে একই সঙ্গে সমস্যা এবং সমাধান ধারণ করে রেখেছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ নিম।


নিমের আছে ১৩০টি ঔষধি গুণ। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিম খুবই কার্যকর। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আসুন জেনে নেওয়া যাক নিমের বিস্ময়কর উপকারিতাগুলো।


১. ক্ষত সারায়

নিম পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে আঘাতজনিত ক্ষত বা কীটপতঙ্গের কামড়ে সৃষ্ট ক্ষততে প্রতিদিন কয়েকবার করে লাগালে তা দ্রুত সেরে যায়।


২. খুশকি তাড়ায়

পরিমাণ মতো পানি ও নিম পাতা নিয়ে সেদ্ধ করুন। যতক্ষণ না পানিটা নীল হচ্ছে। এরপর তা ঠাণ্ডা করে রাখুন। গোসলের সময় চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার পর এই পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করুন।


৩. চোখের সমস্যা দূর করে

কিছু নিম পাতা সেদ্ধ করার পর পানিটুকু ছেঁকে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন। এতে চোখের যেকোনো ধরনের প্রদাহ, ক্লান্তি বা লালচে ভাব দূর হবে।


৪. ব্রণ তাড়ায়

কিছু নিম পাতা গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে ব্রণে লাগিয়ে দিন। যতদিন ব্রণ না শুকোচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এভাবে লাগিয়ে যান। মুখের যেকোনো ধরনের ফুসকুড়ি, ডার্ক স্পট এবং দীর্ঘমেয়াদি ঘা দূর করে নিম।


৫. কানফোঁড়া সারায়

কিছুসংখ্যক নিমপাতা গুঁড়ো করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। যেকোনো ধরনের কানফোঁড়া সারাতে এই মিশ্রণের কয়েকফোঁটাই যথেষ্ট।


৬. অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও দূর করে

নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে যেকোনো ধরনের খুজলি, একজিমা, রিঙ ওয়ার্ম এবং প্রদাহজনিত ত্বকের রোগ সারানো যায়।


৭. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কিছু নিমপাতা চুর্ণ করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বহুগুণ।


৮. কালো আঁচিল দূর করে

২-৩ ফোঁটা নিমের তেল পানিতে মিশিয়ে কালো আঁচিলে নিয়মিতভাবে লাগালে তা চিরতরে দূর হয়ে যায় এবং আর কখনো ফিরে আসে না।


৯. বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে

ফেসপ্যাকের সঙ্গে নিমের তেল মিশিয়ে লাগালে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়া, যেকোনো ধরনের প্রদাহ এবং খোস-পাঁচড়া দূর করে নিমের তেল।


১০. চুলের যত্নে নিম

প্রতিদিন কিছুটা পরিমাণ নিমের তেল নিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে হালকা করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়েছে এবং খুশকিও দূর হয়ে গেছে। চুলের গোড়াও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এতে।