ইন্টারনেট আমাদের যেসব ক্ষতি করল

মজার সবকিছু November 4, 2017 1,344
ইন্টারনেট আমাদের যেসব ক্ষতি করল

ইন্টারনেট যখন ছিল না, তখন এবং যখন আছে, তখনকার পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য যেটাই হোক, ইন্টারনেট আসাতে আমাদের একটু ক্ষতিই হয়ে গেল। দেখা যাক সেসব ক্ষতি কী।


১. যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখন ফেসবুক বলে কোনো বস্তু ছিল না। ইন্টারনেটের যুগে ফেসবুক ছাড়া যেন মানুষের চলেই না।


২. ইন্টারনেট না থাকার সময়ে ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’, ‘শেয়ার’ নিয়ে মানুষের মাতামাতি ছিল না। ইন্টারনেট যুগে ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে কতগুলো লাইক, কমেন্ট আর শেয়ার পাওয়া গেল, তা চেক করে এখনকার মানুষ। এগুলো নিয়ে আছে ‘বাড়তি টেনশন’!


৩. ইন্টারনেট না থাকার যুগে মানুষ কষ্ট করে চিঠি লিখত, সেই চিঠি ডাকে পাঠিয়ে প্রার্থনা করত, ‘মাবুদ, চিঠি যেন প্রাপক বেঁচে থাকতে তার হাতে গিয়ে পৌঁছায়’! ইন্টারনেটের এ যুগে চিঠি যেন জাদুঘরে ঠাঁই নিচ্ছে। এ যুগে মানুষ মুহূর্তেই মেসেজ ‘সেন্ড’ করছে, ওপ্রান্তে ‘সিন’ হচ্ছে, ‘রিপ্লাই’ আসছে ত্বরিতগতিতে।


৪. যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখন কেউ ‘পোক’ শব্দটার সঙ্গে পরিচিত ছিল না। ইন্টারনেট থাকার যুগে ফেসবুকে পোক মারা এখন ডালভাত।


৫. ইন্টারনেট না থাকার সময়ে কোনো সেলিব্রেটির মধ্যে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ‘স্ক্রিনশট’ অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল না। এ যুগে অহরহ সেলিব্রেটিদের বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনশট অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে!


৬. যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখন মানুষের স্মরণশক্তি প্রখর ছিল। যেকোনো তথ্য মানুষ মনে রাখত। এ যুগে নিজের স্মরণশক্তির নিয়ে মানুষ নিজেই সংশয়ে থাকে। যেকোনো তথ্যের জন্য গুগল ছাড়া যেন গতি নই।


৭. ‘যেভাবে খেলে চিকন হবেন’, ‘অফিসে জনপ্রিয় হওয়ার অজানা কৌশল’ এ রকম উদ্ভট শিরোনামের কোনো সংবাদ দেখেনি ইন্টারনেটবিহীন যুগের মানুষ। ‘বউকে বশে রাখার ১০১টি উপায়’, ‘প্রেমিকার মন জয়ের গোপন কৌশল’ হাবিজাবি সব শিরোনামে কথিত সংবাদ এখন ইন্টারনেটে বানের জলের মতো ভেসে বেড়ায়!