দারুণ দশটি কৌশলে মোবাইলের চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করুন

মোবাইল টিপস October 31, 2017 3,129
দারুণ দশটি কৌশলে মোবাইলের চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করুন

প্রতিটা দিনের প্রতিটা মুহূর্তে নিজেদের স্মার্ট মোবাইল ছাড়া যেন একেবারেই অকল্পনীয়। জীবনের প্রয়োজনীয় সকল কাজ হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্ট মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব হয়। অফিসের জরুরি যেকোন কাজ অথবা ছবি তোলা, ভিডিও করা, সিনেমা নামানো, দূরদূরান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা সহ সকল কাজের ক্ষেত্রেই এই যন্ত্রটি ছাড়া সকলেই অচল! মোট কথা, জরুরি কাজ থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম সকল সময়েই প্রয়োজন নিজের প্রিয় মোবাইল ফোনটি।


কিন্তু জরুরি কাজের মুহুর্তে এসে প্রয়োজনীয় যন্ত্রটির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে কাজের যন্ত্রটি এক মুহুর্তেই অকেজো হয়ে যায় একদম। সাধারণত স্মার্ট মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং একদিনের বেশী একেবারেই থাকে না। তবে ছোট্ট এবং দারুণ কিছু ট্রিক্স মেনে চলতে পারলে স্বাচ্ছন্দ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরেও ব্যাটারির চার্জ থাকবে দীর্ঘসময়।


১/ চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করা


শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের স্ক্রিন নয়, চার্জিং পোর্টটিও নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারে মোবাইলের চার্জিং পোর্টে ময়লা জমে আস্তরণ পরে যায়। যার ফলে অনেক সময় মোবাইলে চার্জ হতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই কটনবাড অথবা টুথপিকের সাথে টিস্যু লাগিয়ে মোবাইল ফোনের চার্জিং পোর্ট কয়েকদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।


২/ ওয়ালপেপারে রঙ্গিন ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা


মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপার হিসেবে সকলেই অনেক রঙিন এবং উজ্জ্বল ছবি ব্যবহার করেন। এতে করে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যায়। যে কারণে ওয়ালপেপার হিসেবে সাদা-কালো এবং কিছুটা অনুজ্জ্বল ওয়ালপেপার ব্যবহার করা উচিৎ।


৩/ মোবাইল সবসময় হাতে ধরে না রাখা


শরীরের নিজস্ব উষ্ণতা রয়েছে। যার ফলে মোবাইল ফোন বেশী সময় ধরে হাতে রেখে দিলে হাতের উষ্ণতা গ্রহণ করে মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যেতে শুরু করে। যে কারণে, কাজ শেষে মোবাইল ফোন ব্যাগে অথবা পকেটে রেখে দিতে হবে।


৪/ অটো-রোটেশন অপশন বন্ধ করে রাখা


জরুরি কাজের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র অটো-রোটেশন অপশনটি অন করতে হবে। এছাড়া বাকী সময়ে এই অপশন বন্ধ করে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এই অপশনটির জন্য একটি বিশেষ ধরণের সেন্সর ব্যবহৃত হয়। যার নাম ‘অ্যাক্সেলেরোমিটার’। যেটা মোবাইলের ব্যাটারি খুব দ্রুত নিঃশেষ করে দেয়।


৫/ ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম চালু না রাখা


সারাদিনে নিশ্চয় অনেকগুলো মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফেসবুক থেকে শুরু করে গুগল ম্যাপস কিংবা জি-মেইল সকল প্রয়োজনীয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমেই দিনের শুরুটা হয়। তবে মনে করে সকল অ্যাপস ব্যবহারের পরই বন্ধ করে দিতে হবে। পুরোপুরিভাবে অ্যাপসগুলো বন্ধ না করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে সেই সকল অ্যাপস চালু থাকে। বিধায় ব্যাটারির চার্জ ব্যবহৃত হতে থাকে। প্রতিবার প্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যবহার শেষে সেই অ্যাপের উইন্ডো অফ করে দিতে হবে।


৬/ মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা


এই ব্যাপারটা কমবেশী সকলেই জানেন। মোবাইলের ব্রাইটনেস সর্বোচ্চ দেওয়া থাকলে ব্যাটারির চার্জ অনেক বেশী দ্রুত শেষ হয়ে যায়। যে কারণে মোবাইল ফোনের ব্রাইটনেস ৩০-৪০% এর বেশী দেওয়া উচিৎ নয়। এছাড়াও, রোদের আলোতেও মোবাইল ফোনের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে না দিয়ে অটো-ব্রাইটনেস অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।


৭/ ভাইব্রেশন মোড বন্ধ রাখা


মোবাইল ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মোবাইল ফোন ভাইব্রেশন মোডে রাখা। শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় যেমন: অফিসিয়াল মিটিং কিংবা পরীক্ষার সময় ছাড়া অন্য সকল সময়ে মোবাইলে ভাইব্রেশন মোড বন্ধ করে রাখতে হবে।


৮/ মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য ‘অটো টাইম আউট’ অপশন ব্যবহার করা


অনেকেই তার মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য ‘টাইম আউট’ অথবা ‘স্লিপ’ অপশনটি ব্যবহার করেন না। যে কারণে মোবাইলের স্ক্রিন সবসময় চালু থাকে। এই অপশনের সাহায্যে সময় (১৫ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড) নির্ধারন করে দিলে নির্ধারিত সময় পরে অটো স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে ব্যাটারি কম খরচ হয়।


৯/ কাজ শেষে জিপিএস, ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই বন্ধ করা


প্রয়োজনীয় কাজ শেষে অবশ্যই মনে করে এই সকল অপশন বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ এই সকল অপশন চালু থাকলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি খুব বেশী খরচ হতে থাকে।


১০/ মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে রাখা


রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে রাখা প্রয়োজন। কারণ এতে করে মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের ব্যাটারির বিশ্রাম হয়। যে কারণে ব্যাটারি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চার্জযুক্ত থাকে।


সূত্র: Bright Side