সম্পর্ক থেকে বিরতি নিতে করণীয়

লাইফ স্টাইল October 26, 2017 1,038
সম্পর্ক থেকে বিরতি নিতে করণীয়

সম্পর্ক থেকে বিরতি নেওয়া আর সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া দুটি এক বিষয় নয়। বিরতির মধ্য দিয়ে নিজের সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়, সঙ্গী ও সম্পর্কের প্রতি টান বাড়ে। সম্পর্কে থাকা নানা ভুল ত্রুটিও সংশোধন করা যায়।


তবে সঙ্গীর সঙ্গে কটাদিন বিরতি নিতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। যাতে কারও মনে কোনো রকম সংশয় না থাকে। এই বিষয়ে সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেশি কয়েকটি পন্থার কথা জানানো হয়।


উপযুক্ত কারণ: সম্পর্কে বিরতি নেওয়ার আগে অবশ্যই তার উপযুক্ত কারণ বের করতে হবে। আর এর মধ্য দিয়ে কী অর্জন করতে চাচ্ছেন সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সুস্পষ্ট কারণ থাকলে একে অপরের কাছ থেকে কয়েকটা দিন দূরে থাকার বিষয়টি দুজনের মেনে নিতে সহজ হবে।


দয়াশীল: সম্পর্ক থেকে বিরতি নিতে চাইলে একে অপরের প্রতি সম্মান ও দয়াশীল মনোভাব বজায় রেখেই যোগাযোগ করুন। এতে আপনার সঙ্গী পরিস্থিতির সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারবে। আর সঙ্গীর যদি কোনো আপত্তি থাকে বা কিছু বলার থাকে তা সে বলতে পারবে। বিরতির কারণ জানা থাকলে সেটা ভবিষ্যত জীবনের জন্যও সুফল হবে।


বিরতির সময় নির্ধারণ করুন: কয়েক সপ্তাহ, এক মাস অথবা ছয় মাস কতদিনের বিরতি নিতে চান সে সময় নির্ধারণ করুন। তবে এটাও ঠিক যে, এই সময় নির্ধারণ করা মানেই দলিল করে নেওয়া না। নিজেদের সুবিধা মতো যোগাযোগ করুন। সমস্যা সমাধান হবে অথবা যে উদ্দেশ্যে সম্পর্ক থেকে বিরতি নিচ্ছেন তা অর্জন করতে কতখানি সময় লাগতে পারে তা কেবল দুজনেই ভালো বলতে পারবেন।


সীমা নির্ধারণ: এর মধ্যেই কি আপনার অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্টতা তৈরি হয়েছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা একে অপরকে এড়িয়ে যাচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন আপনি, আপনার নতুন বন্ধু ও আপনার সঙ্গী তিন জনেরই এই বিরতির সময়ের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা ও তা মেনে চলার মানসিকতাও থাকতে হবে।


নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন: সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো অবসরগুলো যতই মধুর হোক, তাকে ‘অনলাইনে’ দেখে সে কী করছে তার খোঁজ নেওয়া, তার আশপাশ সম্পর্কে জানার কৌতুহল বাদ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, আপনারা একটা নির্দিষ্ট কারণের জন্য বিরতি নিয়েছেন। তাই এই সময়টা যৌক্তিকভাবে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহার করুন।


গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করুন: আপনার কী তার কাছে বিশেষ কোনো প্রশ্ন আছে যা আপনি কখনই এড়িয়ে থাকতে পারেন না। অথবা আপনি নিজের সম্পর্ক থেকে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করে। তাহলে সঙ্গীকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করুন এবং নিজের অনুভূতিকে মূল্যায়ণ করুন। নিজের প্রতি সৎ থাকুন এবং নিজের উপর ভরসা রাখুন।


অন্যের সামনে ছোট না করা: সম্পর্ক যতই খারাপ হোক, একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো আপনি চাইলেও বাদ দিতে পারবেন না। আপনাদের সম্পর্কে কী কী খারাপ দিক আছে তা অন্যের সামনে উপস্থাপন করার দরকার নেই। এতে সঙ্গীকে ছোট করা হয়। যদি এই কাজগুলো করে থাকেন তাহলে তাকে জীবনে আবার ফিরে পেতে চাইলে আরেকবার ভেবে দেখুন।


কথা বলুন: সম্পর্ক ঠিক করার জন্য কত দিনের বিরতি প্রয়োজন বা কী কী সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন এই উত্তরগুলো যদি খুঁজে পান তাহলে সে অনুযায়ী কাজ করুন। সম্ভব হলে দুজনে মিলে সমাধানের পথ খুঁজে বের করুন।


যদি বুঝতেই পারেন যে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় অথবা পদক্ষেপগুলো কাজ করছে না তাহলে দুজনের সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক থেকে অব্যাহতি নিন এটাই আপনাদের জন্য ভালো।