কবি হওয়ার সহজ ১০টি উপায়

মজার সবকিছু July 30, 2017 2,342
কবি হওয়ার সহজ ১০টি উপায়

ক বি হতে চান? নো চিন্তা। কিছু সহজ উপায় আছে যা মেনে চললেই আপনি সমাজে মোটামুটি কবি বলে বিবেচিত হতে পারেন। ভাগ্য ভালো হলে হতে পারেন একজন সফল মহাকবি। তবে কেউ কেউ এটি বাঁকা চোখেও দেখতে পারে সেটা ভাবলে চলবে না। মনে রাখতে হবে বাঙালি সর্বদাই মানুষের সফলতা দেখতে পারে না। তাদের পেটে সয় না থুক্কু চোখে সয় না। এক নজরে দেখে নিন আপনি কীভাবে একজন কবি হতে পারেন তার ১০টি সহজ ফর্মুলা—


v কবি হওয়ার প্রথম সহজ উপায় হলো আপনাকে প্রেমে ব্যর্থ হতে হবে। বাস্তবিক জীবনে যদি আপনি আপনার প্রেম নিয়ে খুব হ্যাপি থাকেন তাহলে জোর করে সেটির ব্রেকআপ ঘটান। তাহলে আপনি কবি হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে যাবেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যে দুঃখ-কষ্টগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো একজন কবির ভাব প্রকাশে খুব কাজে লাগে। তবে আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে স্ত্রীর সঙ্গে এমনভাবে কথা বলুন এমনভাবে ব্যবহার করুন যাতে মনে হয় আপনি একজন কবি তবে এ নিয়ে যে আপনার স্ত্রী আপনার উপর যারপরনাই বিরক্ত হবে না, তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। তবুও যেহেতু আপনাকে কবি হতেই হবে, সেহেতু এতটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে।


v বন্ধুবান্ধব তথা সমাজের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ছন্দে ছন্দে কথা বলা শুরু করতে পারেন। এতে করে তারা বলতে বাধ্য হবে বলতে, বাহ! তুমি তো কবিদের মতো ছন্দে কথা বল। এতে করে আপনি যে কবি সেটি সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে যেতে কাজে লাগবে। যদিও একপক্ষ এটার সমালোচনা করবে এতে আপনারই লাভ। যত আলোচনা-সমালোচনা হবে আপনি যে কবি তা সবার কাছে ততটাই দ্রুত পৌঁছে যাবে।


v কোনো সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক ম্যাগাজিন বের করুন, আর সম্পাদক হিসেবে লেখা আহ্বান করুন। লেখা পাঠানোর ঠিকানায় নিজের নামের আগে কবি শব্দটি বসিয়ে নিন (যেমন—কবি মফিজ সরদার)। ব্যস সবাই জেনে যাবে যে আপনিও একজন কবি।


v কবি হিসেবে তাড়াতাড়ি খ্যাতি অর্জনের ক্ষেত্রে হাতে প্রচুর নগদ অর্থের যোগান অনেক কাজে দিতে পারে। প্রতি মাসে একটি করে কবিতা পাঠের আসর আহ্বান করতে পারেন, সেখানে গণ্যমান্য কবিদেরকে নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন আর কবিতা পাঠের শেষে একটি জমকালো খাবারের ব্যবস্থা করুন। এতে করে কবিসমাজ বেশ খুশি হবেন, তাতে আপনারই লাভ। বুঝেনই তো বিনা লাভে বাঙালিরা তুলাও বহন করে না।


v নিজের চালচলন পোশাকাদিতে বিস্তর পরিবর্তন আনুন। সব সময় ঢিলেঢালা আলখাল্লা টাইপের পাঞ্জাবি পড়ুন আর গলায় রাখুন একটি তাঁতের চাদর কাঁধে একটি কবি ব্যাগ ঝোলাতে কিন্তু একদম ভুলবেন না। এটি কবি হিসেবে পরিচিতি দানে অনেক কাজে দেয়।


v যেহেতু আপনি কবি হতে চান, সেহেতু আপনার চুলের ছাঁট ও মুখের দাড়িতে আনতে হবে বৈচিত্র্য। চুল বড় আর এলোমেলো রাখুন, দাড়ি কাটবেন না গোঁফগুলোও বড় রাখুন। কারণ ম্যাক্সিমাম আধ্যাত্মিক কবি হতে গেলে এরূপ বেশভুষার প্রয়োজন।


v ফেসবুকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন। নামের আগে কবি শব্দটি যোগ করুন। আবাল, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ সবাইকে বন্ধু বানান তারপর তাদের পোস্টে মিনিটে চল্লিশটা করে লাইক দিন। কমেন্ট করুন আধ্যাত্মিক টাইপের এবং কিছুটা জীবনদর্শনের। কমেন্টের ভাষা এতটাই কঠিন সমার্থক শব্দে প্রয়োগ করুন যাতে তারা এর রহস্যভেদ করতে নাকানিচুবানি খায়। যাতে করে আপনার ভাষাজ্ঞান দেখে আপনার বন্ধুরা মানতে বাধ্য হয় যে আপনি সত্যিই একজন কবি।


v প্রতিদিন পাঁচটি করে কবিতা ফেসবুকে পোস্ট করুন। কবিতার শিরোনামের নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিজের নামটা লিখে দিতে পারেন, কবি অমুক কিংবা কবি মফিজ সরদার।পোস্টকৃত কবিতাগুলোতে খুবই কঠিন শব্দের ব্যবহার করুন।


v আপনি যে কবি এটি আরও বিস্তরভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লাইন, ইমো, হোয়াটস আপ, রিং আইডি, গুগল প্লাস ইত্যাদিতে আইডি খুলে নিয়মিত কবিতা-ছড়া ইত্যাদি পোস্ট করা শুরু করুন।


v দেশের প্রখ্যাত, কুখ্যাত বিভিন্ন কবি লেখকদেরকে সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যান, খাবার ফাঁকে কাঁধে কাঁধ রেখে সেলফি তুলুন তারপর সেটি ফেসবুকে আপলোড করে ক্যাপশন দিন, কবি কবি ভাই ভাই একসঙ্গে ঘুরি আর একসঙ্গে খাই।