জান্নাতে যাদের মেহমানদারি করবেন আল্লাহ

ইসলামিক জ্ঞান July 29, 2017 2,488
জান্নাতে যাদের মেহমানদারি করবেন আল্লাহ

আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার মধুর সম্পর্ক তৈরি হয় নামাজের মাধ্যমে। এ কারণেই নামাজকে মুমিনের মেরাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর নামাজে পরিপূর্ণ এতমিনান তথা প্রশান্তি লাভ হয় মসজিদে জামাআতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে।


ব্যস্ততম সময় সন্ধ্যা এবং আরামের সময় সকালে জামাআতে নামাজ আদায় করা সবার জন্যই কষ্টকর। এ কষ্টকর ও গুরুত্বপূর্ণ সময় সকাল এবং সন্ধ্যায় যারা মসজিদে গিয়ে জামাআতে সঙ্গে নামাজ আদায় করবেন, তাদের জন্য প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে মেহমান হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করেছেন। হাদিসে এসেছে-


হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা মসজিদে যাবে; আল্লাহ তাআলা তার (ওই বান্দার) প্রতিবারের (মসজিদে যাওয়ার) জন্য জান্নাতের মেহমানদারির ব্যবস্থা করবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)


একজন বান্দার জন্য জান্নাতের মেহমান হওয়ার চেয়ে সৌভাগ্য আর কি হতে পারে! এ হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য সে সুসংবাদই প্রদান করেছেন।


তাছাড়া যারা সকাল এবং সন্ধ্যায় নিয়মিত মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করবে; এক সময় তাদের মাঝে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠবে।


যারা নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে আদায় করবেন। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত হবে জান্নাতে। সে হবে জান্নাতের স্থায়ী মেহমান। যার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


পরিশেষে...

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য অন্য হাদিসে জামাআতে নামাজ পড়ার ২৭গুণ ছাওয়াব লাভের সুসংবাদ বর্ণনা করেছেন।


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জামাআতে সঙ্গে নামাজ আদায় করা একাকি নামাজ আদায়ের চেয়ে ২৭গুন বেশি ছাওয়াব।’ (বুখারি ও মুসলিম) তাই প্রিয়নবি ঘোষিত সুসংবাদ গ্রহণ করা তাঁর উম্মতের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকাল-সন্ধ্যায় মসজিদে গমনের মাধ্যমে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন।


হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে হাদিসে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও মর্যাদা দান করুন। চিরস্থায়ী শান্তির স্থান জান্নাতের সার্বক্ষণিক মেহমান হওয়ার সৌভাগ্য নসিব করুন। আমিন।