হলুদে রূপচর্চা

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস July 27, 2017 800
হলুদে রূপচর্চা

রান্নায় হলুদের ব্যবহার অনেক বেশি। তবে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও রংয়ের জন্যই নয়, রূপচর্চার পাশাপাশি কাটাছেঁড়াতেও কাজে লাগানো যায় এই মসলা।


পুষ্টি ও রূপচর্চারবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় উপমহাদেশে বহুযুগ ধরে ভেষজ উপাদান হিসেবে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার রয়েছে ব্যাক্টেরিয়া-রোধ ও জীবাণু নাশ করার মতো গুণ।


হলুদের অন্যতম একটি উপাদান ‘কারকিউমিন’ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এই উপাদান ত্বকের ক্ষতি পূষিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।


ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ ও অন্যান্য দাগ হালকা করতেও হলুদ সহায়ক। তাছাড়া ত্বকের উপর জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বলতাও বাড়াতে সাহায্য করে এই মসলা।


ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি : অল্প পরিমাণ পরিষ্কার পানিতে এক চা-চামচ হলুদগুঁড়া এবং দুধ বা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


এই মিশ্রণ ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর করতে সাহায্য করে এবং লোমকূপ সংকুচিত করে।


ত্বকের দীপ্তি বাড়ানোর মাস্ক : এক চা-চামচ হলুদগুঁড়া, এক চা-চামচ মধু এবং পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


এই মাস্ক ত্বক মসৃণ করে, রংয়ের অসমতা দূর করে। আর বলিরেখা কমায়।


আর্দ্রতা ধরে রাখার মাস্ক : একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ হলুদগুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক চা-চামচ জলপাই তেল। মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


আর্দ্রতা যোগানোর পাশাপাশি মিশ্রণটি ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।