হাতছানি দেয় খৈয়াছড়া ঝর্ণা

দেখা হয় নাই July 26, 2017 1,698
হাতছানি দেয় খৈয়াছড়া ঝর্ণা

পাহাড়ের সবুজ রং আর ঝর্ণার স্বচ্ছ জল মিলেমিশে একাকার হয়েছে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায়। প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা এ ছবি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ।


যারা একবার খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখেছেন তাদের মনে একটিই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে- দেশে এমন সুন্দর ঝর্ণা দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা। খৈয়াছড়া এলাকার পাহাড়ে অবস্থান বলে এর নামকরণ করা হয়েছে খৈয়াছড়া ঝর্ণা।


মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার কিলোমিটার পূর্বে ঝর্ণার অবস্থান। এরমধ্যে এক কিলোমিটার পথ গাড়িতে যাওয়ার পর বাকি পথ যেতে হয় পায়ে হেঁটে।


বাঁশের সাঁকো, ক্ষেতের আইল, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ, ছরা, অন্তত ৪টি পাহাড় পেরিয়ে যখন ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে পর্যটকরা পা ডোবায় তখন মনে হয় পথের এই দূরত্ব খুব সামান্য।


খৈয়াছড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভুঁইয়ার টিলায় প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে ঝর্ণাটি। পাহাড়ি ঝোপের কারণে মানুষ তখন খুব একটা ওই জায়গায় যেতো না। গত ৪-৫ বছর ধরে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের ঢল নেমেছে ঝর্ণা দেখার জন্য। এক পর্যটক জানায়, দেশের বিখ্যাত অনেক প্রাকৃতিক ঝর্ণা আমি দেখেছি। খৈয়াছড়া ঝর্নার যে সৌন্দর্য তা দেশে দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা আমার জানা নেই।


অন্য এক পর্যটক জানান, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ, সোনালী ধান ক্ষেত, দু’পাশের সবুজ রং আর রিমঝিম ঝর্ণার কলকল শব্দে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এ যেন প্রকৃতির অবিশ্বাস্য এক রূপের খেলা। যা না দেখে বিশ্বাস করা যায় না।


খৈয়াছড়া ঝর্ণার মোট আটটি ধাপ। বেশিরভাগ পর্যটক প্রথম ধাপের সৌন্দর্য দেখে মাতোয়ারা। পাহাড়ের উঁচুতে গিয়ে বাকি ধাপগুলোতে যাওয়া কিছুটা কষ্টকর বলে অনেকেই ঝর্ণার প্রথম ধাপের সৌন্দর্য দেখেই ফিরে আসেন।


ঝর্ণার শেষ ধাপ পর্যন্ত ঘুরে আসা পর্যটক বলেন, অনেক প্রশস্ত জায়গা জুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে শেষ ধাপে। ঝর্ণার শেষ ধাপ পর্যন্ত যারা আসবেন তারা বাংলাদেশের সেরা কোন প্রাকৃতিক ঝর্ণা উপভোগ করবেন নিঃসন্দেহে।