ফোনকে বানান ডিএসএলআর ক্যামেরা

এপস রিভিউ July 25, 2017 4,099
ফোনকে বানান ডিএসএলআর ক্যামেরা

ছবির তোলার জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা বয়ে বেড়ানোর দিন শেষ হতে চললো। এখনকার ফোনেই মিলছে ডিএসএলআর ক্যামেরার বেশ কিছু ফিচার। অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটিকে অনন্য এক ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কয়েকটি অ্যাপের খোঁজ জানানো হলো।


হ্যালিড

যেকোনো এসএলআর ক্যামেরায় যে ফিচার্স থাকে, তার প্রায় প্রতিটাই রয়েছে এই অ্যাপে। স্মার্টফোনের স্ক্রিনে আঙুলের আলতো ছোঁয়াতেই আপনি অনায়াসে বদলে ফেলতে পারবেন হ্যালিডের সেটিংস। তারপর ইচ্ছেমতো ছবি ক্লিক করুন। এই অ্যাপের সেটিংস এতটাই উন্নত, যে অনেক অ্যাপ বিশেষজ্ঞ রসিকতা করে বলেন, ‘স্মার্টফোনে হ্যালিড অ্যাপটা ইনস্টলড থাকা আর এসএলআর ক্যামেরা সঙ্গে রাখা, দু’টো প্রায় একই’। অন্যান্য ফোটোগ্রাফি অ্যাপের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ফোকাস করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু হ্যালিডে ম্যানুয়াল ফোকাস সিস্টেম থাকায় সহজেই আপনি ফ্রেম সেট করে নিতে পারবেন।


ক্যামেরা প্লাস

স্মার্টফোনে ছবি তোলা কিংবা ছবি এডিট করার ব্যাপারে ক্যামেরা প্লাস সবচেয়ে ভাল অপশন। তবে আইফোনের ক্ষেত্রে। এক্সপোজার, ফোকাস, আইএসও, শাটার স্পিড, হোয়াইট ব্যালেন্স— সবই ম্যানুয়ালি অ্যাডজাস্ট করে ছবি তুলতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। ছবি তোলার পর এডিট করার ক্ষেত্রে একশো রকমের অপশন তো রয়েছেই, তার সঙ্গে নানা মুড এবং থিমের ‘ফিল্টার’ও ব্যবহার করতে পারবেন ছবিতে। এটা ফ্রি অ্যাপ হলেও কয়েকটা বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে অ্যাপ স্টোর থেকে আপডেট করিয়ে নিতে পারেন।


গুগল ফটোস্ক্যান

মান্ধাতা আমলের হলদেটে হয়ে যাওয়া যে কোনও ছবি আপনি এডিট করতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যাপের এডিট কোয়ালিটি এমনই, যে কেউ দেখে বলতেই পারবেন না ছবির বয়স অন্তত কয়েক দশক। প্রথমে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় পুরনো দিনের ছবিটা ক্লিক করে নিন। তারপর ছবিটা গুগল ফটোস্ক্যান অ্যাপের মাধ্যমে খুলুন। সেখানেই পেয়ে যাবেন হাজারো অপশন। এরপর ইচ্ছেমতো ছবি এডিট করুন। ছবি যে এক মুহূর্তে নতুনের মতো হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি, অ্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমেও ছবি তোলার অপশন তো আছেই।


পিক্সলার

হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি শেডস এবং এফেক্ট রয়েছে পিক্সলার অ্যাপে। আর এটাই হল পিক্সলার অ্যাপের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। যেকোনো রকমের ছবিতে আনায়াসে এফেক্টস দিতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। ছবির উপর লেখালেখিও করতে পারবেন। ছবির কোলাজও বানিয়ে নিতে পারবেন পিক্সলার অ্যাপের মাধ্যমে। বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি এই অ্যাপটা। শুধু নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি মধ্যবয়স্ক যারা ছবি তুলতে ভালবাসেন, তারাও খুব সহজেই এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।


কুইক

ব্যবহার সহজ। এবং খুব কম সময়ে ছবি এডিট করা যায়। এই দু’টোই হল কুইক অ্যাপের প্লাস পয়েন্ট। অনেকে বলেন, যারা ফোন-ফোটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন, তাঁদের স্মার্টফোনে এই অ্যাপটা থাকা চাই-ই। ৬০০’র বেশি ফিল্টার রয়েছে কুইক অ্যাপে। সঙ্গে রয়েছে ছবির উপর ক্যাপশন লেখার বন্দোবস্তও। এখানেই শেষ নয়, অ্যাপ থেকে কোনও ছবি সরাসরি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করার বন্দোবস্তও রয়েছে অ্যাপে। কুইকের অ্যাপ মেনুতেই পেয়ে যাবেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল সাইটের লিঙ্ক।


তাহলে আর দেরি কেন? ডাউন লোড করুন এসব অ্যাপ। আর ফোনে পান ডিএসএলআর ক্যামেরার মত ছবি।