কর্মস্থলে যে আটটি কাজ কখনোই করবেন না

লাইফ স্টাইল July 24, 2017 1,058
কর্মস্থলে যে আটটি কাজ কখনোই করবেন না

আমরা সকলেই জানি যে কর্মস্থলে আমাদেরকে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে হবে। আমাদের ম্যানেজারকে সম্মান করতে হবে। এবং ডেডলাইন মেনে কাজ করতে হবে। কিন্তু এছাড়াও এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো চাকরিতে সফল হতে চাইলে করা যাবে না।


১. খুব বেশি অভিযোগ করা

কাজের পরিবেশ ভালো না হলে মাঝে-মধ্যে আপনি আপনার অসন্তোষ প্রকাশ করতেই পারেন। কিন্তু আপনি যদি প্রায়ই আপনার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে কিন্তু আপনারই ক্ষতি হবে।


প্রথমত, বেশি বেশি অভিযোগকারীকে কেউই পছন্দ করেন না। আর তাছাড়া কর্মস্থল নিয়ে আপনি যতবেশি হাপিত্যেশ করবেন ততই আপনার এমন কিছু বলে ফেলার ঝুঁকি বাড়বে যে কারণে আপনি সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। আপনার যদি কাজের চাপ বা উৎপাতকারী কোনো সহকর্মীকে সামলাতে সমস্যা হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে আপনার পার্টনার, বন্ধু বা কোনো থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলুন।


২. সবসময়ই স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া

নিয়মিত দায়িত্বের বাইরেও কোনো দায়িত্ব পালন করলে হয়তো আপনি আপনার ম্যানেজারের সুদৃষ্টি অর্জনে সক্ষম হবেন। আর এতে হয়তো আপনার ক্যারিয়ারেও সহজেই উন্নতি আসবে। কিন্তু অনবরত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে যাবেন না বা অন্যদের কাজের চাপ নিজের ঘাড়ে নিতে যাবেন না। এতে অন্যরা সুযোগ নেওয়ার পাশাপাশি আপনার নিজের সার্বিক পারফরমেন্সও খারাপ হয়ে যেতে পারে।


৩. যথাযথ পোশাক না পরা

আজকাল অনেক কম্পানিই ক্যাজুয়াল ড্রেস কোড অবলম্বন করছে। এতে হয়তো আপনার আরাম হবে এবং টাকাও বাঁচবে। কিন্তু এর ফলে আবার ভুল সিদ্ধান্তেরও ঝুঁকি তৈরি হয়। পোশাকের ব্যাপারে আপনার অফিসের পরিবেশ যত ঢিলেঢালাই হোক না কেন এমন কোনো পোশাক পরবেন না যা খুব বেশি খোলামেলা, ছেঁড়া বা অপরিষ্কার ও ইস্ত্রি করা হয়নি এমন পোশাক পারা যাবে না। এছাড়া আক্রমনাত্মক কোনো ভাষা বা স্লোগান সম্বলিত টি-শার্টও পরা যাবে না।


৪. রাজনীতি নিয়ে আলাপ করা

অফিসে বসে হয়তো আপনি আপনার সাপ্তাহিক ছুটি কীভাবে কাটাবেন সে বিষয়ক আলাপ করতে পারেন। রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক বিশ্বাস খুবই ব্যক্তিগত একটি ব্যাপার। ফলে এ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিপরীত রাজনৈতিক বিশ্বাসের কোনো সহকর্মীর সঙ্গে হয়তো আপনার উত্তপ্ত বিতর্ক হয়ে যেতে পারে। এতে তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কও খারাপ হয়ে পড়তে পারে। যা কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে।


৫. গুজব ছড়ানো

কেউই গুজব পছন্দ করে না। এছাড়া গুজব ছড়ালে আপনি এইচআর নীতি লঙ্ঘনের দায়েও পড়তে পারেন। আপনার যদি একান্তই গল্প-গুজব করতে হয় তাহলে তা অফিসের বাইরে গিয়ে করুন।


৬. ব্যক্তিগত ফোন কল, সামাজিক গণমাধ্যম বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন কোনো বিষয়ে বেশি সময় ব্যয় করা

আপনি যদি খুবই কর্মব্যস্ত কোনো পরিবেশেও কাজ করেন তাও মনে রাখবেন কেউ না কেউ হয়তো আপনার ওপর গোপন নজরদারি করছে। হতে আপনার ম্যানেজার বা আপনার সহকর্মীই আপনার অগোচরে সে কাজটি করছে। আর তাছাড়া আপনি কখনোই জানতে পারবেন না আপনার কম্পানি আপনার কোন তথ্য-উপাত্ত ট্র্যাক করছে। সুতরাং কম্পানির নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহারেও সতর্ক থাকুন।


৭. ছোঁয়াছে রোগ নিয়ে অফিসে আসা

অনেক কম্পানি আজকাল কর্মীদের অসুস্থার সময়টুকুকে আবশ্যিক ছুটি হিসেবে গণ্য করে। এমনকি অসুস্থ অবস্থায় কাজ করলেও পরে সে ছুটি উপভোগের সুযোগ দেয়। ফলে আপনি হয়তো অসংক্রামক কোনো রোগে আক্রান্ত হলে অফিস করতেই পারেন। কিন্তু ছোঁয়াছে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে বাড়িতে থাকলেই বরং ভালো। অথবা আপনি আপনার বসকে বলে বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারেন।


৮. সহকর্মীদের খাবার চুরি করা

কর্মস্থলের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর একটি এটি। আপনার যদি একান্তই খাবারের দরকার পড়ে তাহলে কারো কাছে চেয়ে নিতে পারেন।