যে ৫ সত্য মেয়েরা স্বামীকে বলেন না!

লাইফ স্টাইল July 21, 2017 1,399
যে ৫ সত্য মেয়েরা স্বামীকে বলেন না!

বিয়ের পর স্বামীর অনুগত্য থাকে মেয়েরা। কিন্তু অনেক বিষয়ে স্বামীর কাছ থেকে নিজের দুরে রাখে নারীরা। বিয়ের পর দুজন দুজনের পাশে থেকে সারজীবন কাটাতে হয়। একে অপরের ভিতরে ভরাসা আর বিশ্বাসের যায়গা তৈরি হয়। আর সঙ্গে অবশ্যই পারস্পরিক বিশ্বাস আর সম্মান। এর নামই বিয়ে। যার সঙ্গে সারাজীবন কাটাবেন বলে স্থির করেছেন, তার কাছে গোপন কী-ই বা থাকতে পারে। তবে সত্যিই কি গোপন কিছু থাকে না? উত্তর দিয়েছেন বিশ্বের নামী মনোবিদরা। তাদের মতে, এমন পাঁচটি বিষয় রয়েছে যা নিয়ে স্ত্রীরা সাধারণত স্বামীর কাছে মুখ খোলেন না বা মুখ খোলা পছন্দ করেন না।


ব্যক্তিগত সাফল্য

চাকরিতে পদোন্নতি বা বড়সড় স্যালারি হাইক। আনন্দের বিষয় সন্দেহ নেই। কিন্তু স্ত্রীরা সাধারণত এ ব্যাপারে চুপ থাকেন। এর প্রধান কারণ ইগো। এটা দু' পক্ষেরই থাকতে পারে। ডা. কার্পেন্টার বলেন, 'বহু পুরুষ চাকরি করা সফল মহিলাদের স্ত্রী হিসাবে পেতে চান। কিন্তু তারা প্রথমে একটা জিনিস দেখেন, স্ত্রী তার থেকে বেশি সফল কিনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক তাও বলছি, এটা পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে। তাই সমস্যা এড়াতে চুপ করেই থাকেন নারীরা।'


ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে তা নিয়ে নারীরা সাধারণত কথা বলা পছন্দ করেন না। থেরাপিস্ট ডা. টোমানিকা উইদারস্পুন বলছেন, 'এ পেছনে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। যদি কোনও কারণে সম্পর্ক না টেঁকে, তাহলে ব্যাঙ্কে জমানো টাকা কাজে লাগবে। তবে এর সঙ্গে একটা সেন্স অফ বিট্রেয়াল-ও কাজ করে। যদি কোনও কারণে স্বামী আপনার এই গোপন অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানতে পারেন, তবে তার বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে। তিনি এটাও ভাবতে পারেন, আরও বড় কোনও বিষয়ও হয়তো আপনি লুকিয়ে গিয়েছেন। এ বিষয়গুলি তৈরি হওয়ার আগেই কথা বলুন। এতে ক্ষতির চেয়ে লাভই বেশি হয়।'


শারীরিক অসুস্থতা

এ ব্যাপারে কথা বলায় নারীদের চরম অনীহা থাকে। বিশেষত, তারা যদি বুঝতে পারেন, সমস্যা গুরুতর। তবুও স্বামীর কাছে গোপন করে রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেন। বিশ্বের অন্যতম নামী মনোবিদ, ডা. ক্রিস্টেন কার্পেন্টার বলেন, 'এর পেছনে একটা ভাবনাই কাজ করে। সংসারের চিন্তার সঙ্গে যদি আরও একটি বিষয় এসে জোটে তবে স্বামীর মানসিক সমস্যা বাড়বে। কিন্তু এটা করার অর্থ ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যা আহ্বান করা। শারীরিক ব্যাপার স্বামীকে বলবেন না তো কাকে বলবেন!'


সম্পর্কে সমস্যা

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিবাহিত নারীরা একলা মনোবিদদের সাহায্য নিচ্ছেন, থেরাপিও করাচ্ছেন এটা জানার জন্য বিবাহিত সম্পর্কে থাকবেন কিনা। থেরাপিস্ট ডা. জোডি ভোথ বলেন, 'সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ ভয়। নারীরা সাধারণত এটা ভাবেন স্বামী থেরাপির কথা জানলে তিনিও নিজের স্বাধীন মতামত দেবেন। ফলে একাই হোক। কিন্তু এতে বিশেষ লাভ হয় না। কারণ সম্পর্ক তৈরি হয় দু'জনকে নিয়ে। সমস্যা যদি থেকেই থাকে, তবে তা মেটাতেও হবে দু' জনকে। একা করা সম্ভব নয়।'


যৌনতায় পছন্দ-অপছন্দ

বিয়ের সঙ্গে শারীরিক প্রত্যাশাও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু বেশিরভাগ নারী এ ব্যাপারে চুপ করে থাকা পছন্দ করেন। ডা. ক্রিস্টেন কার্পেন্টার বলেন, 'তারা ভাবেন যদি স্বামীকে বললে তার খারাপ লাগে বা তিনি অসন্তুষ্ট হন। তাই অতৃপ্ত থাকা বা সঙ্গমের সময় কোনও বিষয় অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও তারা চুপ করে থাকেন। এ ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলাই ভালো। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিবেশে যখন দু' জনে একা থাকবেন, তখন এ ব্যাপার উত্থাপন করুন। প্রথমেই বলুন আপনার কোন বিষয়টা ভালো লাগে। তার পর খারাপ লাগার প্রসঙ্গে আসুন।'