দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে কী করতে হবে?

ইসলামিক শিক্ষা July 20, 2017 1,262
দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে কী করতে হবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।


জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।


আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৭৪তম পর্বে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে কি না, সে সম্পর্কে মাগুরা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন মোসা. মরিয়ম সুলতানা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।


প্রশ্ন : এই যে ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিপদ মানুষের ওপর দিয়ে যায়, আর তাতে মানুষ আহত বা নিহত হয়। এর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে কী করলে এগুলো থেকে মাফ করে দেবেন?


উত্তর : আল্লাহর বান্দা যে কাজগুলো করতে পারবেন সেটি হচ্ছে, প্রথম আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করা। দ্বিতীয় যেটি সেটি হলো, বান্দাদের হেফাজতের জন্য আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা একটি বিষয় বান্দাদের ওপর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। সেটি হলো, আল্লাহতায়ালার অধিকার যেগুলো আছে, সেগুলোকে হেফাজত করা। এ জন্য আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা এটা আমাদের একদম স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাসূল (সা.) থেকে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, এ হাদিসটি তিরমিজ বর্ণনা করেছেন, সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ। এটা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে লক্ষ্য করে আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে যুবক! তোমাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কালিমা শিক্ষা দেবো। আল্লাহতায়ালাকে হেফাজত করো, তাহলে আল্লাহতায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে।’ এখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজতের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অধিকার যেগুলো রয়েছে, সেই অধিকারগুলো তোমাকে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে আল্লাহতায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে।


আল্লাহতায়ালাকে হেফাজত করবে না, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও হেফাজত করবে না। এ জন্য এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজত করা। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজত করছেন কি না। বিপদের আগে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা তোমাকে সহযোগিতা করবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে সামনে পেয়ে যাবে। কিন্তু আমরা এ কাজ করি না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হুকুমগুলো হেফাজত করি না। যদি আমরা হেফাজত করতাম, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এই সমস্ত বিপদ মুসিবতে হেফাজত করতেন।


তৃতীয়ত, সকাল-সন্ধ্যার যেসব দোয়া রয়েছে, এগুলোকে হেরজ বলা হয়ে থাকে। এগুলো মূলত বাঁচার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আপনি সকালের যে মৌলিক দোয়াগুলো রয়েছে, সেগুলো পড়বেন। আবার সন্ধ্যার যে মৌলিক দোয়াগুলো আছে, সেগুলো পড়বেন। তাহলে দেখতে পাবেন যে অবশ্যই আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা আপনাকে হেফাজত করছেন এবং এই দোয়াগুলো জেনে নিলে আমরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হব।


সূত্রঃএনটিভি