দ্রুত ব্রণ ভালো করার কার্যকরী ১৭টি টিপস

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস July 16, 2017 1,105
দ্রুত ব্রণ ভালো করার কার্যকরী ১৭টি টিপস

ব্রণ, সৌন্দর্য্য সচেতন যে কোন নারীর কাছেই যেন এক ভয়ংকর শব্দ! সেবাসিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে একপ্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত।


সুন্দর মুখে ব্রণ হওয়ার যে কত কষ্টের তা শুধুমাত্র যার হয় সেই বুঝে। ব্রণ মুখের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে। গালে, চিবুকে, কপালে বা মুখের যে কোন জায়গাতেই এটি হতে পারে।অপনার যদি এই সমস্যা থেকে থাকে দ্রুত কমিয়ে ফেলার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলির অনুসরণ করতে পারেন।


ব্রণের প্রকারভেদঃ

১) ট্রপিক্যাল একনি– অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে।


২) প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি– কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়।


৩) একনি কসমেটিকা– কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে।


৪) একনি ডিটারজিনেকস– মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।


৫) স্টেরয়েড একনি– স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় ।


ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় :

কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে।


আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।


দ্রুত ব্রণ ভালো করার কার্যকরী ১৭টি টিপস


১. পুদিনা পাতা বেঁটে ব্রণের উপর ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন; এতে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে।


২. কখোন হাত বা অন্য কিছু দিয়ে মুখে কখনো খুটবেন না।


৩. প্রচুর পরি মানে পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার।


৪. মুখের উপর বরফ ঘষুন ১০-১৫ মিনিটের মত। এতে ব্রণ কম বের হবে এবং যদি ব্রন বেরিয়েও থাকে, তা কমে যাবে ।


৫. ব্রনের উপর রাত্রে ঘুমানোর আগে সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রন কমে যাবে। এবং শুকিয়েও যাবে।


৬.ব্রনের উপরে এবং চারপাশে কাচা রসুনের রস লাগাতে হবে। এতে খুব দ্রুত ব্রন সেরে যাবে। দাগ ও অনেক কম হবে ।


৭. কমলা লেবুর খোসা বেটে পেষ্ট তৈরী করে তা মুখে লাগালে ব্রণ কবে যাবে।


৮. ব্রন উঠলে দেরী না করে দ্রুত তার উপরে মধূ লাগিয়ে নিলে তা আর বাড়ে না।


৯. রাত্রে ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মেখে রাখলে এবং সকালে ধুয়ে ফেলল মুখ ব্রন মুক্ত থাকে।


১০.পানি এবং ভিনিগারের মিশ্রন তৈরী করে তা গরম করে নিতে হবে; এরপর তা ঠান্ডা হলে মুখে ব্যবহার করে ৫মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।


১১. ব্রণের আকার কমাতে আলু গোল করে কেটে নিয়ে তা ব্রনের উপর ৫ থেকে ৭ মিনিট ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।


১২. শশা ছেঁচে (থেতো করে) তাতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে তা মুখে লাগান; প্রায় ৩০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। মুখে ব্রণ হবে না; আর থাকলেও তা অনেকাংশে কমে যাবে।


১৩. ভালো মানের ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার/ধোঁয়া উচিত। মুখে সাবান লাগানো থেকে দূরে থাকাই উত্তম।


১৪. প্রচুর ময়লা উৎপন্ন হয় এমন কাজ বা বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেললে ব্রন হওয়া কমানো সম্ভব।


১৫. এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ আমন্ড তেল এক সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিয়ে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে তা ধুয়ে ফেলুন। মুখে ব্রন হলে মুখে দুধ লাগানো থেকে দূরে থাকুন।


১৬. প্রতিদিন সকালে সাবান দিয়ে মুখ পরিস্কার করার পর ফুটন্ত গরম পানিতে কিছু তুলসি পাতা ছেঁচে দিয়ে পানির ভাপ মুখে লাগান। ভাপ নেওয়া হয়ে গেলে বরফ গলা ঠান্ডা পানি দিযে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


১৭. নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ বেটে পেষ্ট তৈরী করে তা মুখে লাগালে ব্রণ কমে যায়।


আশাকরি উপরের ১৭টি টিপস আপনার ব্রন হওয়া ঠেকাতে এবং হয়ে গেলে তা কমাতে সাহায্য করবে।