রূপচর্চায় মধুর যত ব্যবহার

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস July 13, 2017 686
রূপচর্চায় মধুর যত ব্যবহার

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার দীর্ঘদিনের। ত্বকের মসৃণতা বাড়াতে কিংবা দাগ দূর করতে মধুর জুড়ি নেই। কোমল ও আকর্ষণীয় ত্বক পেতে তাই রূপসচেতন সবাই মধুর ওপর নির্ভর করে থাকেন। মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। কারণ এটি আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। আর এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। চলুন জেনে নেই রূপচর্চায় মধুর কিছু ব্যবহার-


মুখের দাগ দূর করতে মধু, আমন্ড অয়েল, গুঁড়া দুধ এবং লেবুর রস পরিমাণমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ বা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।


চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করতে ও চুল সিল্কি রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে চুলের নিচের অংশে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে কন্ডিশনারের বোতলে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন।


ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মধু কার্যকর। শুষ্ক ত্বকে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে। মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ও মরা কোষ দূর করে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। মধু দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক হবে দাগহীন ও সুন্দর। এক চামচ মধু ও এক চামচ উপটান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।


মধুতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে, ত্বক টানটান রাখে। তাই প্রতিদিন এক চামচ মধু খাওয়া ভালো।


দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে।


লিপবাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। এক চামচ আমন্ড অয়েল এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে রেখে দিন। ঠোঁট ফাটা রোধ করবে এবং সতেজতা ঠিক থাকবে।


দুই চামচ মধু, আধা চামচ চিনি এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাব বানিয়ে নিতে পারেন। এই স্ক্র্যাব ২ থেকে ৩ মিনিট হাল্কাভাবে মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং মধু ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।


২ চামচ মধু, ৩ চামচ অলিভ অয়েল এবং টক দই একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে ময়েশ্চার এবং হেয়ার ফলিকল উজ্জীবিত করে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


চুল প্রাকৃতিকভাবে হাইলাইটস বা কালার করতে চুল কতটা লম্বা সে অনুযায়ী মধু নিন এবং এতে টক দই দিন, যাতে মধুর আঠালো ভাবটা দূর হয়। এবার চুলের যে জায়গা হাইলাইট করতে চান, সেখানে মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগান এবং ২ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। পর পর চার দিন লাগান।