প্যান্টের পকেটে মোবাইল রেখেছেন কী মরেছেন!

লাইফ স্টাইল July 6, 2017 1,436
প্যান্টের পকেটে মোবাইল রেখেছেন কী মরেছেন!

রাক্ষস আর টিয়া পাখির গল্প শুনেছেন? এক রাক্ষস চিল যার প্রাণ ছিল একটি টিয়া পাখির শরীরে। তেমনি টেক স্যাভি জেন ওয়াইরা তাদের প্রাণ খুঁজে পায় মোবাইলের দুনিয়ায়। তাই তো সেকেন্ডের জন্য হলেও তারা মোবাইলকে হাত ছাড়া করতে চান না। এতে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু গবেষণা বলছে ভুলেও মোবাইলের জায়গা যেন প্যান্টের পকেট না হয়, তাহলেই কিন্তু বিপদ!


একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে মোবাইলের সঙ্গে এতটা সময় অন্তরঙ্গ ভাবে কাটানো একেবারেই উচিত নয়। কারণ মোবাইলের শরীর থেকে তৈরি হওয়া রেডিয়েশনের বিষ নানাভাবে আমাদের শরীরের উপর কুপ্রভাব ফেলে থাকে।


তাই তো প্যান্টের পকেটে থাকাকালীন কল আসা-যাওয়ার সময় সেই রেডিয়েশনের প্রভাব আমাদের শরীরের নিচের অংশে মারাত্মক ভাবে পরে, যা একাধিক শারীরিক সমস্য়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন ধরুন...


তথ্য ১:

প্যান্টের পকেটে থাকাকালীন মোবাইলে থেকে তৈরি হওয়া রেডিয়েশনের প্রভাবে আমাদের গোপন অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্পার্ম কাউন্ট হ্রাস পাওয়ার কারণে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রেও নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই সাবধান!


তথ্য ২:

রেডিয়েশন হল এমন একটা শক্তি যা প্রাণের বিনাশ ঘটিয়ে থাকে। ফলে আমাদের শরীরের যত কাছাকাছি মোবাইল ফোন থাকবে, তত দেহের অন্দরে নানা কুপ্রভাব পরবে। এক্ষেত্রে ডি এন এ ড্যামেজ পর্যন্তও হতে পারে। আর একবার যদি ডি এন এ-এর গঠনে রদবদল হতে শুরু করে দেয় তাহলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ!


তথ্য ৩:

ট্রাউজারের পকেটে মোবাইল থাকলে শরীরের কোনও অঙ্গটি সব থেকে কাছাকাছি থাকে? একেবারে ঠিক ধরেছেন। তাই তো সেলুলার ডিভাইসের খারাপ প্রভাব প্রথমে সেখানেই গিয়ে আঘাত করে। আর এমনটা হতে হতে ইরেক্টিল ডিসফাংশনের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই যদি বাবা হওয়ার ইচ্ছা থাকলে মোবাইল রাখার অন্য় কোনও জয়গা খুঁজুন, না হলে কিন্তু...


তথ্য ৪:

প্যান্টের পকেটে রাখতে পারবেন না বলে আবার বুক পকেটে ফোন রাখা শুরু করবেন না যেন। তাহলে কিন্তু আরও বিপদ! কারণ রেডিয়েশনের প্রভাবে আমাদের গোপন অঙ্গের যতটা না ক্ষতি হয়, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি হয় হার্টের। আর একবার যদি হার্ট বিকল হতে শুরু করে তাহলে জীবন পরিধি কমতে কমতে এক সময়ে একেবারে শূন্য়ে এসে দাঁড়ায়।


তথ্য ৫:

মোবাইল ফোনে কীভাবে কল আসে এবং যায়, সে বিষয়ে কোনও ধারণা আছে? প্রত্যেকটা সেলুলার ডিভাইসেই একটা অ্যান্টেনা থাকে, যা প্রতিনিয়ত সিগনাল বা রেডিও ওয়েভ পাঠাতে থাকে। এই রেডিও ওয়েভের সাহায্যেই ফোন কল আসে এবং যায়। প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের কাছকাছি মোবাইল রাখলে এই রেডিও অয়েভ শরীরের অন্দরে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা কোষেদের দ্বারা শোষিত হতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে কোষেদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে তো কোষেদের জন্ম প্রক্রিয়া ঠিক মতো না হওয়ার কারণে একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এক কথায় রেডিও ওয়েভ হল এক ধরনের বিষ যা কোষেদের অন্দরে প্রবেশ করে তাদের ধীরে ধীরে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়।


তথ্য ৬:

মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তার রেডিয়েশনের প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে নানা কুপ্রভাব পরে। এক্ষেত্রে নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ারের ঘাটতি হতে শুরু করে। ফলে প্রথমে বুদ্ধি, তারপর স্মৃতিশক্তি কমে যেতে থাকে। তাই তো দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, আমাদের ডান দিকে মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশটা থাকে তাই ডান কানে ফোন রেখে কখনও কথা বলবেন না।


তথ্য ৭:

মোবাইল কথা বললেই শরীরের ক্ষতি হবে, এমন নয় কিন্তু! কত সময় ধরে কথা বলছেন, দিনে কতক্ষণ মোবাইল আপনার শরীরের কাছাকাছি রয়েছে, এইসব নানা ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে ক্ষতির হার।


সূত্রঃ বোল্ডস্কাই