বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে জন্মালে

মজার সবকিছু April 18, 2016 1,138

ঘরের কাজের লোকের সঙ্গে প্রতিদিন বাজারে যেতে হতো কিশোর ছেলেটাকে। অথচ বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট করতে মন চাইত না তার। বরং কঠিন কঠিন অঙ্ক নিয়ে মজার খেলা খেলতে ভালো লাগত। একদিন বুদ্ধি করে কাজের লোককে বাজারে পাঠিয়ে সে গণিত বই নিয়ে মাঠের ধারে বসে অঙ্কের মজার মজার খেলা খেলতে লাগল। এভাবেই চলতে লাগল। কাজের লোক বাজার সেরে ফিরে এলে দুজন মিলে ঘরে ফেরে। ফলে ঘরে ফিরতে তাদের দেরিই হতো। একদিন ছেলেটির চাচা সন্দেহ করলেন। বুঝলেন, তাঁর ভাতিজা বিরাট ফাঁকিবাজ। একদিন ভাতিজা আর কাজের লোককে বাজারে পাঠিয়ে পেছন থেকে অনুসরণ করলেন তিনি। ভাতিজাকে একা একা মাঠে বসে অঙ্ক করতে দেখলেন। হাতেনাতে ভাতিজাকে ধরলেও ছেলেটা একদিন বড় কিছু হবে—এই আশায় তাকে বাজারে পাঠানো বন্ধ করে দিলেন। ছেলেটা একদিন ঠিকই বড় কিছু হয়েছিল। ছেলেটির নাম স্যার আইজ্যাক নিউটন।

(সূত্র: মেনি থিংস ডটঅর্গ)

দেশি সংস্করণ

গঞ্জে রফিক মিয়ার বেশ চালু খাবারের হোটেল আছে। নিজে ক্যাশ বাক্সে বসার পাশাপাশি নিজের কিশোর ছেলে আসাদকেও মাঝে মাঝে দোকানে বসতে হতো। এ ছাড়া হোটেলের কর্মচারী যখন বিকেলের দিকে বাজার করতে যেত, তখন রফিক মিয়া আসাদকে সঙ্গে পাঠাতেন, যেন কর্মচারী বাজারের টাকা চুরি করতে না পারে। আসাদের এসব ভালো লাগত না। তার ইচ্ছা করত বিকেলে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলতে। বন্ধুমহলে আসাদের ফুটবল প্রতিভা নিয়ে সবাই প্রশংসা করে। রোনালদো, মেসিকে আদর্শ ভাবা আসাদ একদিন কর্মচারীকে একাই বাজারে পাঠিয়ে মাঠে যায় ফুটবল খেলতে। এদিকে কর্মচারী ফিরে এলে বাজার আর খরচের মধ্যে অমিল পেয়ে রেগে ফায়ার হয়ে যান রফিক মিয়া। পরের দিন আবারও তাদের বাজারে পাঠিয়ে পেছন পেছন অনুসরণ করা শুরু করেন। কর্মচারীকে একাই বাজারে পাঠিয়ে আসাদ যখন কেবল মাঠে নেমেছে, তখনই বাঁশের চিকন কঞ্চি হাতে মাঠে নেমে পড়েন আসাদের বাবা। বাকিটা ইতিহাস!


বিদেশি সংস্করণ

লোকটা গোসল করার জন্য বাথটাবে সবে গা দিয়েছেন, এমন সময় তাঁর মনে হলো, এত দিন যা ভাবছিলেন সেটার সমাধান পেয়ে গেছেন! তাই বাথটাব থেকে উঠে খালি গায়ে ‘ইউরেকা! ইউরেকা!’ বলে রাজপথ দিয়ে দৌড়াতে লাগলেন! বিজ্ঞানীর নাম আর্কিমিডিস।

(সূত্র: সায়েন্টিফিক আমেরিকান ডটকম)


দেশি সংস্করণ

প্রবীণ গণিত শিক্ষক অনেক দিন ধরে নতুন একটা সূত্র নিয়ে ভাবছিলেন। একদিন গোসলের জন্য কাপড়চোপড় খুলতেই তাঁর মনে হলো, সূত্রটা পেয়ে গেছেন। খুশিতে খালি গায়েই তিনি রাজপথ ধরে দৌড়াতে দৌড়াতে ‘আমি পেয়ে গেছি!’ বলে চিৎকার করতে লাগলেন। রাস্তার মানুষজন পোশাক-আশাক ছাড়া একজন বৃদ্ধকে দৌড়াতে দেখে পাগল ভেবে নিজের কাজে মন দিল। আর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটক করে নিয়ে গেল থানায়। শেষমেশ তাঁর ঠিকানা হলো পাবনায়।


বিদেশি সংস্করণ

সাত-আট বছরের ছেলেটা প্রায়ই উদ্ভট উদ্ভট চিন্তা করত। তারই ধারাবাহিকতায় একদিন সে মুরগির ডিম নিয়ে স্টোর রুমে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেগুলোতে বুকের তাপ দিতে লাগল। সে ভেবেছিল, মুরগি যদি তার ওম দিয়ে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে পারে, তাহলে তার বেলায়ও বাচ্চা ফুটবে না কেন? এ রকম উদ্ভট চিন্তা করা ছেলেটা পরে হয়েছিল নামকরা বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন।

(সূত্র: স্টারলিং বায়োগ্রাফিস: টমাস এডিসন, দ্য ম্যান হু লাইট আপ দ্য ওয়ার্ল্ড, লেখক: মার্টিন উডসাইট)


দেশি সংস্করণ

ছেলেটার বয়স নয় বছর। নিতান্তই পল্লি গ্রামে তার বাড়ি। বাড়িতে মায়ের মুরগির খামার আছে, ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চলে। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা উদ্ভট উদ্ভট চিন্তা করত। মুরগির ওম দিয়ে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো দেখে একদিন সে-ও শখ করে তার মায়ের খামার থেকে কয়েকটা ডিম নিয়ে গোয়ালঘরের এক কোনায় খড়ের গাদার ওপর বসে পড়ল। ওম পেয়ে বাচ্চা হয় কি না, সেটাই দেখার ইচ্ছে তার। এদিকে প্রায়ই মুরগির ডিম চুরি নিয়ে সন্দেহে ভুগতেন ছেলেটির মা। কিন্তু চোরকে হাতেনাতে ধরতে পারছিলেন না। একদিন সন্ধ্যায় গোয়ালঘরে ঢুকে ডিমসহ হাতেনাতে পাকড়াও করেন ছেলেকে। রাতে তার বাবা বাসায় ফিরে ‘ছেলে ডিম চুরি করে বিড়ি ফুঁকে’—এ রকম ধারণা করে আচ্ছামতো পিটুনি দিলেন। সেদিন থেকে ছেলেটির উদ্ভট চিন্তার বাতিক দূর হলো!